রাজ্য

বেআইনি নিয়োগ! প্রভাব খাটিয়ে নিজের পুত্রবধূকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সভাপতি, অভিযোগ তুলে পোস্টারে ছয়লাপ বাঁকুড়া

তৃণমূলের অনেক নেতার (TMC leaders) বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে নিজের পরিবারের লোকজন বা ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার ফের এমন অভিযোগ উঠল তৃণমূলের নারায়ণপুর অঞ্চল সভাপতি আশিস মিদ্যার (Ashish Midya) বিরুদ্ধে। প্রভাব খাটিয়ে নিজের পুত্রবধূকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের এই নেতার বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই নিয়ে পোস্টারে (poster) ছয়লাপ।

এদিন সকাল থেকে এক পোস্টারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর এলাকায়। পোস্টারদাতা বা দাতাদের নাম ছাড়াই সাদা ফুলস্কেপ কাগজের উপর কালো কালিতে লেখা কিছু কথা। তা হল, “আশিষ মিদ্যা নিজের বউমাকে দুর্নীতি করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া নারায়ণপুর তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে মানছি না মানব না”।

আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে গ্রুপ ডি-এর ভুয়ো তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই তালিকায় ৬৬ নম্বরে নাম রয়েছে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আশিস মিদ্যার পুত্রবধূর। ইন্দাসের একটি স্কুলে গ্রুপ ডি-এর কর্মী তিনি। কিছুদিন আগেই বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের তরফে আশিস মিদ্যাকে পাত্রসায়ের ব্লকের অঞ্চল সভাপতি পদে পুনর্নিয়োগ করা হয়। আর এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র হাতিয়ার কটাক্ষ শানাতে দেরি করে নি বিজেপি।

এই বিষয়ে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবী, “তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। ওই কোম্পানিতে যে যতো তোলা, কাটমানি আর টাকা দিতে পারবে সে ততো বেশি দায়িত্ব পাবে। নারায়ণপুর অঞ্চল সভাপতি নিজের বউমাকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন”। তিনি এও দাবী করেন যে এই পোস্টার পড়ার বিষয়টি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।

অন্যদিকে, পাত্রসায়ের ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায় এই অভিযোগ নাকোচ করেন। এই ঘটনা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে দাবী করে তিনি বলেন, “বিরোধীদের চক্রান্ত। তারা পায়ের তলায় মাটি না পেয়ে এসব পোস্টার দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে”।

এর পাশাপাশি, চাকরির দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশিস অঞ্চল সভাপতি হওয়ার আগেই বৌমার চাকরী হয়েছে। বৌমার সঙ্গে এক পরিবারে, এক বাড়িতে তিনি থাকেনও না”। তাঁর কথায়, এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, সেই কারণে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ তিনি।

Back to top button
%d bloggers like this: