শহরের তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, অবশেষে কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথবু বঙ্গবাসী, মরশুমের শীতলতম দিন আজ

অবশেষে বঙ্গে দেখা দিয়েছে কনকনে ঠাণ্ডা। জাঁকিয়ে শীত পড়ায় শীতের আমেজ বেশ উপভোগ করছে বঙ্গবাসী। এর আগে ১৭ই ডিসেম্বর একধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটা নেমে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে বাড়তে থাকে গরম। শীতের সময়ও অস্বস্তিকর পরিবেশ ছিল। তবে এবার উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের সর্বত্র পড়েছে জাঁকিয়ে শীত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, এই কনকনে ঠান্ডার রেশ চলবে রবিবার পর্যন্ত। শুক্র ও শনিবার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবারও হাড় কাঁপানো শীত থাকবে। তবে রবিবারের পর থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে।
হাওয়া অফিসের মতে, সোম-মঙ্গলবার থেকে সামান্য বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে পরের সপ্তাহের শেষে ফের জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের দু-এক জেলায় ঘন কুয়াশা হতে পারে। বাকি জেলায় সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা হলেও পরে আকাশ পরিষ্কার হবে।
আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা এখনও পর্যন্ত মরশুমের শীতলতম দিন। এর আগে ১৭ই ডিসেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা নেমেছিল ১৩.২ ডিগ্রিতে। আজ সকালেও হালকা কুয়াশা দেখা গেলেও বেলা বাড়তে ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়। জানা যাচ্ছে যে ঝাড়খণ্ড ও বিহার সংলগ্ন জেলাগুলিতে শৈত্য প্রবাহ হলেও হতে পারে।
হাওয়া অফিসের কথায়, পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা নামবে। আগামী দু’দিন পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতি একই থাকবে। এরপর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। মহারাষ্ট্রে দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে। অন্যদিকে আবার গুজরাতে ২৪ ঘন্টা পর দুই থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে। এও জানা যাচ্ছে যে আগামী ৭ জানুয়ারি শনিবার উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে। আর এর প্রভাবে শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।