রাজ্য

মোটা টাকা দিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কেনার চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন তৃণমূল নেতা, নেতাকে বেঁধে রাখলেন বিজেপি কর্মীরা

সদ্যই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচন নিয়ে কম বিতর্ক, অভিযোগ ওঠেনি। এরই মধ্যে আরও এক অভিযোগ উঠল ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কেনার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা। টাকা নিয়ে এলাকায় চলেও এসেছিলেন তিনি। তবে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বেঁধে রাখেন ওই তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিডাঙায়।

কী অভিযোগ উঠেছে?

অভিযোগ, গতকাল, শুক্রবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা অসিত গোস্বামী। সেখানে বেশ কিছু জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের ফোন করেন তিনি। তাদের টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করেন। এই খবর পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ওই তৃণমূল নেতাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন বিজেপি কর্মীরা। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

এই ঘটনার খবর যায় পুলিশের কাছে। ঘাটাল থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে আসে অসিতকে। তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।

কী জানাল বিজেপি?

জানা গিয়েছে, সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২১ টি আসনের মধ্যে দশটি যায় তৃণমূলের দখলে। দশটি আসন পেয়েছে বিজেপি। একটি আসনে জেতেন নির্দল প্রার্থী। এর জেরে এই পঞ্চায়েতে কোনও দলই বোর্ড গঠন করতে পারেনি। বিজেপির অভিযোগ, নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কয়েকদিন ধরেই নির্দল প্রার্থীকে দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তা না পেরে এখন বিজেপি কর্মীদের টোপ দেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “এটা ঘাটালের ইতিহাসে প্রথম। খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। কয়েকদিন ধরেই এলাকার কিছু তৃণমূল নেতা বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখাচ্ছেন। দল পরিবর্তনের জন্য টাকার লোভ দেখাচ্ছেন। এ ঘটনা তো তারই প্রতিফলন”।

কী জানাচ্ছে তৃণমূল?

এই ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাঝি এই বিষয়ে বলেন, “ওরা যা বলছে সবই মিথ্যা কথা। অসিত ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের কোন সারির নেতা তা আমাদের জানা নেই। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করতে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমে পড়েছে”।

Back to top button
%d bloggers like this: