কলকাতা

সাত বছরের খুদের মৃত্যুই রাতারাতি ভোল পাল্টে দিল বেহালা চৌরাস্তার, বসল কড়া ট্র্যাফিক নিরাপত্তা, শিশুমৃত্যুর অপেক্ষাতেই ছিল প্রশাসন?

সাত বছরের সৌরনীলের মৃত্যু যেন রাতারাতি বেহালা চৌরাস্তার ভোলটাই পাল্টে দিল। শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের মতো বেহালা চৌরাস্তায় গতকাল, শুক্রবার রাতেই বসানো হল ম্যানুয়াল ড্রপ গেট। দড়ির বাঁধনের ড্রপ গেট তোলা-নামানো করছেন পুলিশকর্মীরা। এখান দিয়েই রাস্তা পারাপার করতে হবে।

ঠাকুরপুকুর থেকে তারাতলা পর্যন্ত ফুটপাতের সিংহভাগ কার্যত হকারদের দখলে। ব্যস্ততার জেরে বাধ্য হয়েই রাস্তার ধার ঘেঁষেই চলাচল করতে হয় পথচারীদের। রাস্তার দু’দিকের লেনের এক পাশে আড়াই মিটার অংশ নির্দিষ্ট করা রয়েছে পথচারীদের জন্য। সেখানে ফাইবার ডিভাইডার বসিয়ে তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে মোটা দড়ি দিয়ে। গোটা রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত গতিতে যান চলাচল যাতে না করে, সেই কারণে পর্যাপ্ত ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে রাস্তায়।

স্কুল গেট থেকে দু’পা হাঁটলেই মেইন রোড। সেখানে দ্রুত বেগে যায় গাড়ি। গতকাল, শুক্রবার সকালে সেই রাস্তা পেরোতে গিয়েই লরির ধাক্কায় মৃত্যু সাত বছরের ছোট্ট সৌরনীলের। পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। কিন্তু আজ, শনিবার সকালের পরিস্থিতিটা একেবারেই আলাদা। এদিন স্কুলের সামনে প্রচুর পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়রা মোতায়েন রয়েছেন।

কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

এদিন ভোর থেকেই ২ জন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট রয়েছেন ডিউটিতে। রয়েছেন ৮ জন হোমগার্ড ও ৩ জন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী। এই এলাকায় মোট পাঁচটি ম্যানুয়াল ড্রপ গেট বসানো হয়েছে। এছাড়াও বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা ট্রাম ডিপো ও রাস্তার ভিড় খতিয়ে দেখে স্থির করা হবে আর কোথায় দুটি ড্রপ গেট বসানো যায়।

এতদিন এমন ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি?

অভিভাবকদের প্রশ্ন, এতদিন এত দাবী জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। একটা খুদের মৃত্যু নাড়িয়ে দিল সব কিছু। এই ব্যবস্থাপনা চিরস্থায়ী হবে তো? নাকি ক্ষণস্থায়ী? তবে জানা গিয়েছে, লালবাজারের তরফে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।  সমস্ত ডিভিশন ও থানাতে লালবাজারের নির্দেশিকা, ওসি কিংবা অতিরিক্ত ওসি-কে থানাতে থাকতে হবে। থানা, বারাক, ডিভিশন-সহ মোট ফোর্সের ২৫ শতাংশ বাহিনী থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: