কোটি টাকা দিয়ে পুরভোটের টিকিট কিনেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর, বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দলেরই নেতা, চরম অস্বস্তিরে শাসক দল

কিছু মাস আগেই গিয়েছে পুরভোট (Municipality Poll)। এবার পুরভোট নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এক তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। তাঁর দাবী, মেমারি (Memari) পুরসভার এক কাউন্সিলর (councilor) ও এক নেতা পুরভোটের জন্য কোটি টাকা দিয়ে ভোটের টিকিট কিনেছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বভাবতই বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে দলের মধ্যে। বিজেপিও তৃণমূলকে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি।
এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মেমারি শহর সভাপতি স্বপন ঘোষাল-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই সভাতেই তৃণমূলের মেমারি শহর সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। মেমারির এক কাউন্সিলর ও এক নেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “গত পুরসভা ভোটে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছিলে। তোমার নেতাও ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছিল। আমরা সব জানি। দিঘার কোন হোটেলে রাত কাটাও সেটাও আমাদের জানা আছে”। শুধু তাই-ই নয় এদিন সভা থেকেই অনুব্রত মণ্ডল ও পার্থ চত্তপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে ওই দুই নেতাকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
তৃণমূল নেতার এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের আঁচ লেগেছে। এমনিতেই মেমারি থেকে সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উঠে এসেছে।, বুথ সভাপতির তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দলের মধ্যে অশান্তি বেড়েছে। এবার এক কাউন্সিলর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়কে নতুন করে রঙ করে তা কাউন্সিলর কার্যালয় করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেও দলের মধ্যে কোন্দল লেগেই রয়েছে। আর এবার এখন নতুন করে এই বিতর্ক যে দলীয় কোন্দল বাড়াবে, তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু ফারুক আবদুল্লার মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, “এখন বিরোধী বলে তো কিছু নেই। এখন সবাই তৃণমূল। কে কোথায় কী বলে দিচ্ছে তা বোঝা মুশকিল। দল পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে”। তৃণমূল সূত্রে খবর, শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন, সেই অভিযোগ প্রমাণ করার দায়িত্বও তাঁরই।
অন্যদিকে, বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “তোলাবাজি, চুরি সবেতেই সিদ্ধহস্ত তৃণমূল। দলের প্রার্থী হতে উপর তলায় টাকা দিতে হয় এই দলে। ওদের নেতালাই তা জানিয়ে দিচ্ছে”।