‘নিষ্ঠার সঙ্গে দল করলেও দলে কোনও জায়গা নেই’, আক্ষেপ প্রকাশ তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের, ফের প্রকাশ্যে ঘাসফুল শিবিরের অন্তর্কলহ

পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন উত্তম বারিক। আর এরপরই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা পরিষদের অন্যতম জয়ী সদস্য তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা দলকে নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। তাঁর কথায়, “নিষ্ঠার সঙ্গে দল করলেও দলে কোনও জায়গা নেই”।
কী জানাচ্ছেন তরুণ জানা?
দলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনকে নিয়েই যে তাঁর এই ক্ষোভ, তা তিনি সরাসরি বলেন নি। দলীয় সূত্রের খব্রম পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তরুণ জানাও। সেই বিষয়ে তরুণ জানা বলেন, “নাম ছিল, কিন্তু নিশ্চিত তো ছিল না। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হয়েছে। এখন নানারকম এজেন্সি কাজ করে তো”।
জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের শপথ গ্রহণের দিন তরুণ জানা অনুপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, তিনিই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হচ্ছেন, এমন চিন্তাভাবনা নিয়েই বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন তরুণ জানা। কিন্তু মাঝপথেই খবর পান, উত্তম বারিককে সভাধিপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরই মাঝপথে গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ি ফেরেন বলে খবর। তবে তরুণবাবুর কথায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি যেতে পারেননি। তবে এই নিয়ে বিতর্ক শেষ হচ্ছে না।
কী জানাচ্ছেন সাংগঠনিক জেলা সভাপতি?
দলের মধ্যে এই বিতর্কের কারণে মুখ খুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দলের তমলুক সাংগঠনিক সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ীই জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের তরফেই উত্তম বারিককে জেলা পরিষদের প্রধান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে দাবী সৌমেন মহাপাত্রের।
অন্যদিকে, উত্তম বারিকও এই প্রসঙ্গ বেশ কৌশলের সঙ্গেই এড়িয়ে যান। তাঁর কথায়, “আমাদের মধ্যে কোনও লড়াই নেই। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল পরিবারের সদস্য”। বলছেন, হয়ত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি সেদিন আসতে পারেননি।
কী বলছে বিজেপি?
তৃণমূল যতই বিতর্ককে ধামাচাপকা দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, এই নিয়ে কটাক্ষ করতে বাদ যায়নি গেরুয়া শিবির। পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র এই বিষয়ে বলেন, “বেশিরভাগ জায়গায় তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করেছে। ছাপ্পা দিয়ে জিতেছে। কাটমানি খোরদের লড়াই হবে আবার”।