রাজ্য

তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা, প্রবল অস্বস্তিতে শাসক দল

এক তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি। এই অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল যুব নেতা। দলীয় নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের জেরে বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে কটাক্ষ শানাতে দেরি করে নি বিরোধী দলগুলি।

কী অভিযোগ জানিয়েছেন তরুণী?

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী তরুণী হুগলির পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা। তাঁর দাবী, গত শনিবার তাঁকে জোর করে একটি গাড়িতে তোলা হয়। সেই গাড়িতে ছিলেন শেখ মোমিন হোসেন নামের এক ব্যক্তি যিনি পাণ্ডুয়ার ক্ষীরকুণ্ডি-নিয়ালা-নামাজগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল যুব সভাপতি বলেই পরিচিত।

তরুণী জানান, তাঁকে গাড়িতে তুলে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সিমলাগড়ে এক নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ তরুণীর। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসে স্থানীয়রা। তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ ডাকে। কাছেই পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ টহল দিচ্ছিল।

ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে চম্পট দেয় মোমিন। এই ঘটনায় পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তরুণীর দাদু বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম। পাড়ার একটি ছেলে এসে ডেকে বলল থানায় যেতে। থানায় গিয়ে দেখি নাতনি বসে আছে। ঘটনা শুনে অফিসারকে বললাম যা করলে ভালো হয় করুন”।

এই ঘটনায় কটাক্ষ বিরোধীদের

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘাসফুল শিবিরকে একহাত নিয়েছে বিরোধীরা। পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএম নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, “তৃণমূল যুব নেতা একটি মেয়েকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকার লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পুলিশ খবর পেয়ে খুব ভাল কাজ করেছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে”।

কী জানাচ্ছে তৃণমূল?

এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। পাণ্ডুয়ার তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “কেউ খারাপ কাজ করলে, পুলিশ তাকে সমর্থন করে না”। যদিও অভিযুক্ত নেতা মোমিনের দাবী, তিনি নির্দোষ। তাঁকে আমজাদ হোসেন নাকি ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।

Back to top button
%d bloggers like this: