আচমকাই মেয়েদের স্কুলে ঢুকে ‘দাদাগিরি’, শিক্ষিকাদের ধমকানি-চমকানি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, উত্তপ্ত ভাঙড়

বিনা অনুমতিতে আচমকাই বালিকা বিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ল কয়েকজন যুবক। শুধু তাই-ই নয়, শিক্ষিকাদের ধমকানি-চমকানি দিতে থাকে তারা। অভিযুক্তরা সকলেই শাসক দলের নেতা-কর্মী বলেই পরিচিত। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাবিরুল ইসলাম ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। ঘটনাটি ঘটেছে আজ, মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ে।
ডিএ ৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিবাদে দু’দিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সূত্রের খবর, এই কর্মবিরতি ডাকের আঁচ পড়েছে ভাঙড়েও। সেখানেও ভাঙড় হাইস্কুল ও ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কর্মবিরতি পালন করছেন। স্কুলে গেলেও কোনও কাজে যোগ দেন নি তারা।
আর এর জেরে এদিন স্কুল সময়ে ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ে ঢোকেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও ভাঙড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদকের ১৪-১৫ জন অনুগামীরা। স্কুলের শিক্ষিকাদের তারা ধমকানি, চমকানি দেন বলে অভিযোগ। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষিকারা কেন ক্লাস নিচ্ছেন না, রাজ্য সরকারের কেন বদনাম করছেন তারা, সে ব্যাপারে তাদের জেরা করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভাঙড় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা মণ্ডল। তিনি জানান, “বাইরের কেউ বালিকা বিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে আগে থেকে জানাতে হয়। সে সব না করে একদল যুবক বিনা অনুমতিতে স্কুলে ঢুকে অসম্মানজনক কথা বলেন”।
অন্যদিকে, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমি তৃণমূল নেতা হিসাবে স্কুলে যাইনি। আমি একজন অভিভাবক হিসাবে স্কুলে গিয়েছিলাম। ওই স্কুলে আমার মেয়ে পড়ে। কেন দু-দিন ধরে পড়াশোনা হচ্ছে না, তা জানতে গিয়েছিলাম”।
জানা গিয়েছে, এই একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে ভাঙড় হাইস্কুলেও। কিন্তু সাবিরুল ও তার দলবলের বিরুদ্ধে ভাঙড় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সরকার কোনও মন্তব্য করেন নি।