রাজ্য

‘চার মাস এলাকা জলে ডুবে থাকে, ২০ বছর ধরে একই অবস্থা’, ‘দিদির দূত’ বিধায়ককে দেখেই ঘিরে ধরলেন ক্ষিপ্ত জনতা, ক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদেরও

পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayet Election) জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য তৃণমূলের তরফে শুরু হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ (Didir Suraksha Kawaj) নামের কর্মসূচি। জেলায় জেলায় নানান এলাকায় যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’রা। আর সেই কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে তাদের। এবার কর্মসূচিতে গিয়ে আমজনতার রোষের মুখে পড়লেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় (Khageshwar Roy)।

গতকাল, সোমবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এদিন তিনি এলাকায় যেতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সামলানোর চেষ্টা করলেও ক্ষিপ্ত জনতাকে আটকানো যায়নি। বিধায়ককে সামনে পেয়েই ক্ষোভ উগড়ে দেন তারা। যদিও বিধায়কের কথায়, সাত ভাই এক বাড়িতে থাকলে মনোমালিন্য হয়েই থাকে।

এদিন বিধায়কের কাছে এলাকার জলমগ্ন পরিস্থিতি, পানীয় জলের সমস্যা, পথের আলোর সমস্যা, স্কুলের শিক্ষক সমস্যার-কথা সহ নানান ইস্যু নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিধায়ক তাদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। এরপর বেশ কিছু সমস্যা দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি।

এলাকার এক বাসিন্দা এদিন বলেন, “জলের সমস্যা, নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বছরে তিন চার মাস জলে ডুবে থাকি। আজকের সমস্যা নয়। ২০ বছর হয়ে গেল এই অবস্থার। আমরা বিধায়ককে জানালাম। বিধায়ক বললেন দরখাস্ত দিতে। উনি দেখবেন”।

এই বিষয়ে বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “বেশ কয়েকটি জায়গায় মানুষের অনেক অভিযোগ পেয়েছি। ড্রেন নেই বা অন্যান্য সমস্যার কথা বললেন। এক এক জায়গায় গিয়ে দেখলাম স্কুলে শিক্ষক নেই। জাবরাপিটা হিন্দি প্রাইমারি স্কুলে দেখলাম ৩৭৯ জন পড়ুয়া। শিক্ষক নেই। আমি ম্যাডামের কাছে জানতে চাইলাম, ডিআইকে জানিয়েছেন? দরখাস্তই করেননি। তা হলে কী করে হবে। আমি বললাম, দরখাস্ত করে আমাকে কপি দিন। এত ছেলেমেয়ে, তিনজন শিক্ষক হয় কোনওদিন? দরখাস্ত পর্যন্ত করেনি। আমি বলেছি, লিখিত আকারে সবটা দিতে। আর ক্ষোভ বিক্ষোভ তো থাকবেই। সাত ভাইয়ের ভাইয়ে ভাইয়ে ক্ষোভ হয় না। সেরকম দলের অন্দরেও থাকবে”।

Back to top button
%d