রাজ্য

‘দেবকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল, আমার টিআরপি ভেরি হাই, মরা অবধি যাবে না’, ছবির সাফল্যে ‘প্রজাপতি’ বিতর্ক নিয়ে কুণালকে ধুয়ে দিলেন মিঠুন

ডিসেম্বরের শেষে মুক্তি পায় মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) ও দেব (Dev) অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’। এই ছবি মুক্তির পর থেকেই নানান বিতর্কে জড়িয়েছে। ছবি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। গতকাল, সোমবার ছিল এই ছবির ২৫ দিনের সেলিব্রেশন। এদিন ‘প্রজাপতি’ নন্দনে শো না পাওয়া থেকে ছবি নিয়ে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মন্তব্য, নানান বিষয় নিয়ে মুখে খুললেন মিঠুন চক্রবর্তী।

এদিন ফের একবার মিঠুনের গলায় উঠে এল ‘ফ্লপ তত্ত্ব’। কুণালকে খানিকটা খোঁচা দিয়েই অভিনেতা বলেন, “আমরা এখানে এসেছি বোধহয় পৃথিবীতে প্রথমবার একটা ফ্লপ ফিল্মকে সেলিব্রেট করতে। এত ফ্লপ হয়েছে যে এর আওয়াজ এরপর অস্কারে শুনতে পাবেন”।

মিঠুনের কথায়, তাঁর সঙ্গে দেবের সম্পর্ক সততার, সম্মানের। তাঁর সংযোজন, “আমি এখনও বড় তারকা। এখনও যদি আমি চাই ৩৬৫ দিন কাজ করতে পারি। আমার টিআরপি ভেরি হাই। আর প্রজাপতি এত বড় টিআরপি করে দিল, মরা অবধি যাবে না। চেষ্টা করে লাভ নেই”।

নন্দনে ‘প্রজাপতি’ শো না পাওয়া নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। মিঠুন বিজেপি নেতা হওয়ার কারণেই নন্দনে এই ছবিকে জায়গা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে বঙ্গ বিজেপি। অনেক মহল থেকেই এহেন অভিযোগ আসে। এই নিয়ে এর আগে কোনও মন্তব্য না করলেও, গতকালের সেলিব্রেশনে এই নিয়ে মুখে খোলেন মহাগুরু।

নন্দনে ছবি বাছাইয়ের কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি তো বলেছি যতক্ষণ না এই কমিটিতে কে কে আছে তাদের নাম বলবে আমি কোনও জবাব দেবো না। আমি তাদের নাম জানতে চাই। অনীকদার মতো পরিচালক, তার ছবি নেই। প্রজাপতি নেগলেক্টেড। আমি জানতে চাই কারা আছে? আমার কাছে তো সব প্রেক্ষাগৃহই নন্দন। তবে হ্যাঁ নন্দনের একটা আলাদা মাত্রা আছে। বাঙালি ঘেঁষা লোক তো। অবশ্য আমাকে নাকি আর বাঙালি বলা যায় না। যাই হোক তাদের চিন্তা”।

‘প্রজাপতি’ বিতর্কে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন যে এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে নেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, “মিঠুনদার ফ্লপ অভিনয়! ওখানে যদি পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতেন ফাটাফাটি হয়ে যেত”।

এদিন কুণালকে এদিন ‘গঙ্গারাম’ বলে কটাক্ষ করেন মিঠুন। তাঁর কথায়, “আমি নাম নিয়ে রাজনীতি করি না। আমি এসব ফালতু সময় নষ্ট করতে চাই না। এসব গঙ্গারামদের কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। একটা কথা বলি, গঙ্গারাম ভেবেছিল দেবকে ভয় দেখানো যাবে। কারণ উনি তো এখন ওই পার্টির শেষ কথা। তবে দেব ভয় পায়নি। দেব উত্তর দিয়েছে অভিনেতা হিসাবে। পাবলিক প্রথম সপ্তাহেই ছবিটা দেখে মাউথ পাবলিসিটি করেছে। এটা কিন্তু অশনি সঙ্কেত”।

মিঠুনের মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন দেব বলেন, “মিঠুনদা হয়ত এখন জানতে পারল। আমার ছোটবেলা থেকেই সাহস বেশি। রাজনীতি, সৌজন্য়, ছবি তিনটে আলাদা জিনিস। সৌজন্যটা ছোটবেলা থেকে শেখা। রাজনীতি আমার কাছে এখনও মানুষের ভাল করা। সিনেমাটা মানুষের বিনোদনের জন্য। আরেকটা জিনিস মনে করি ভালোবাসা দিলেই ভালোবাসা পাওয়া যায়। কাউকে আক্রমণ করে তো লাভ নেই। উপরওয়ালা আছে। আজ নয়ত কাল তোমাকে ঠিক ফিরিয়ে দেবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: