রাজ্য

দিল্লিতে থাকবে না দফতর, বদল আসতে পারে দলের নাম-প্রতীকে, ‘সর্বভারতীয়’ তকমা হারানোর জেরে আর কী কী খোয়াতে হবে তৃণমূলকে?

তৃণমূল (TMC) আর সর্বভারতীয় (national party) দল নয়। গতকাল, সোমবার একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বছর গড়ালেই লোকসভা নির্বাচন।, এমন আবহে তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়াটা বেশ চাপের কারণ দলের জন্য। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামার চিন্তাভাবনা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল।

জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর এবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে কিছু বিষয় থেকেও বঞ্চিত হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। জাতীয় দলের স্বীকৃতি না থাকার দরুন আরও অনেক কিছুই খোয়াবে তৃণমূল। সেগুলি কী কী, দেখে নেওয়া যাক-

  • জাতীয় দলের স্বীকৃতি না থাকায় এবার থেকে দলের নির্বাচনী প্রতীক EVM কিংবা ব্যালট পেপারে আর প্রথমের দিকে থাকবে না।
  • বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ে প্রাদেশিক দলের তকমা রয়েছে তৃণমূলের। সেই কারণে এবার তৃণমূলকে যদি অন্য রাজ্যে লড়তে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে নিজের দলের প্রতীক নাও পেতে পারে তারা। অর্থাৎ, এই দুই রাজ্যের বাইরে অন্য রাজ্যে নির্বাচনে লড়তে গেলে তৃণমূল নিজের জোড়াফুল প্রতীক ব্যবহারের অনুমোদন নাও পেতে পারে।
  • জাতীয় নির্বাচন কমিশন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলে এবার থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ডাক নাও পেতে পারে।
  • জাতীয় স্বীকৃতি না থাকার কারণে এবার থেকে আর ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’ নাম ব্যবহার করতে পারবে না তৃণমূল।
  • দিল্লিতে তৃণমূল আর দফতর রাখতে পারবে না। দলের দফতরের জন্য এবার দিল্লি আর তৃণমূলকে জমি বা বাড়ি দেবে না।
  • পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয় বাদে অন্য রাজ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মনোনয়নের জন্য আর প্রস্তাবক লাগবে না।
  • জাতীয় দলের তকমা হারানোর জেরে এবার তারকা প্রচারকের সংখ্যা ৪০ থেকে ২০-তে কমিয়ে আনতে হবে তৃণমূলকে।
  • ভোট প্রচারের জন্য সরকারি টিভি এবং রেডিয়োতে বিনামূল্যে বিজ্ঞাপনের সুবিধা আর মিলবে না।
  • জাতীয় দল আর না থাকার কারণে ভোটার লিস্টে দুটি কপি নির্বাচন কমিশন আর বিনামূল্যে দেবে না মমতার দলকে।
  • নানান পলিটিকাল ফান্ডের ক্ষেত্রেও আবার সমস্যায় পড়তে পারে তৃণমূল।
Back to top button
%d bloggers like this: