রাজ্য

তৃণমূল বনাম তৃণমূল! লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেদার চলছে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট বিক্রি, ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের একাংশরই

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। শাসক-বিরোধী উভয়ই ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে কোমর বেঁধে। আর এমন আবহে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি উঠে আসছে। এবার টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করার অভিযোগ উঠল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। আর এমন অভিযোগ তুলে ধর্না দিল তৃণমূল গোষ্ঠীরই একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মেজিয়া এলাকায়।

এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনও নতুন ঘটনা নয়। নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়েও জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে একযোগে ককাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন মেটার নয়।

এবার দলের ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলীয় টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুললেন তৃনমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় মেজিয়া হাইস্কুল মোড়ে দলের স্থানীয় ও অঞ্চল স্তরের নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে ধর্না মঞ্চ করে ধর্না অবস্থান শুরু করেন তিনি। তবে এর কিছুক্ষণ পরই অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ ওই অংশ।

এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে মলয় মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মেজিয়া ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটিতে ৮-১০টি আসনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আর পঞ্চায়ের সমিতির টিকিট বিক্রি চলছে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মেজিয়া ব্লক সভাপতি জন্মোঞ্জয় বাউরি বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কিছু দুষ্কৃতী ও করে খাওয়া লোক এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। এই ঘটনা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়”।

অন্যদিকে, এই বিষয়ে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, “দলের তরফে এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি। এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা কী ভাবে বুঝলেন কে প্রার্থী হচ্ছে”? হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “দল বিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

এই ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করতে বাদ যায়নি বিজেপি। বিজেপির মেজিয়া মণ্ডলের সভাপতি বিপত্তারণ বাউরি বলেন, “এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। নিজের দলের কর্মীদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করে, তারা কীভাবে মানুষের কাজ করবে”?

Back to top button
%d bloggers like this: