রাজ্য

‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় চাই, বিরোধীরা যাতে ভোটে প্রার্থীই না দিতে পারে’, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ উদয়নের

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। এই নির্বাচনে যাতে বিরোধীরা কোনও প্রার্থী না দিতে পারে আর তৃণমূলের যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জিত হয়, দলীয় কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিলেন উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। গত বুধবার রাতে দিনহাটার (Dinhata) নাজিরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত পূর্বশোলমারি গ্রামের ৭/২৯ নম্বর বুথে একটি সভা করেন তৃণমূল মন্ত্রী। সেখান থেকেই এহেন মন্তব্য করেন তিনি।

এদিনের এই সভা থেকে তিনি জানান যে নাজিরহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ টি আসন এবং তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা শুধুমাত্র জয়ী হলে হবে না, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে হবে তাদের। আর সেভাবেই যেন দল এগোয়।

উত্তরবঙ্গের মন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য ঘিরে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এখন থেকে সন্ত্রাস করে ভোট লুটের জন্য কর্মীদের সক্রিয় করে তুলতে মন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করছেন। যদিও বিরোধীদের এই ধরনের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির।

বক্তব্য রাখার সময় উদয়ন গুহ বলেন সেদিন সভায় বলেন, “ভোট যেদিনই হোক, এখন থেকেই দলের সাংগঠনিক অবস্থা এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যাখানে শুধু জেতার কথা চিন্তা করলে হবে না। এই বুথে যাতে কোনও বিরোধীদল প্রার্থী খুঁজে না পায় সেইভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বাড়ি বাড়ি যেতে হবে”।

তাঁর সংযোজন, “বিজেপি, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেসের প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের বাড়ি থেকে বেরতে না পারে সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, যদি এখানে বিরোধী প্রার্থী না থাকে তাহলে এখানকার কর্মীদের অন্য বুথে কাজে লাগানো হবে। এখান থেকে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এইভাবে নাজিরহাটের বড় অংশের কর্মীদের শালমারা, বুড়িরহাটে নিয়ে গিয়ে নির্বাচনী কাজ চালাব”।

মন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি ও বিধায়ক সুকুমার রায়ের বক্তব্য, “সাধারণ মানুষের প্রতি মন্ত্রীর কোনও আস্থা নেই। তাই ভোট লুঠ করে, হার্মাদ বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবার পরিকল্পনা করছেন। এই সহজ উপায়ে তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভার উপনির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। আর সেটাই এখন অবলম্বন করতে চাইছেন। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নয়। বিজেপি চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: