রাজ্য

মার্চের শেষ থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়বে বলে জানাল আলিপুর হাওয়া অফিস

এই সপ্তাহের শুরুতে আকাশে কালো মেঘ দেখার সম্ভবনা কমছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে রোদ ঝলমলে আকাশ, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির চোখ রাঙানি থাকবে না। যদিও শনিবার বেশ ভালই বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এমনকি রবিবারও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাবে, সেকথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস।

বর্তমানে করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যেই সাতজনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। মাঝে একটা সময় বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি ছিল গরম পড়লে অর্থাৎ উষ্ণতা কিছুটা বাড়লে হয়তো প্রভাব কমবে মহামারী ভাইরাসের।

তবে ইংরেজির ক্যালেন্ডারে মার্চ মাসের প্রায় শেষ এবং বাংলা মাসে চৈত্রের মাঝামাঝি সময় চলে এলেও গরমের দাবদাহ এখনও শুরু হয়নি। অন্যান্য বছর এই সময় হাল্কা ঝড়বৃষ্টি হলেও গরম বেশ ভালই থাকে। কিন্তু এবছর এমনটা হয়নি। বরং শনি এবং রবিবার আবহাওয়া বেশ অনুকূল ছিল। দিনের বেলায় রোদের তেজ থাকলেও রাতেরবেলা এবং ভোররাতে বাতাসে হাল্কা শীতের আমেজ অনুভূত হয়। ফলে এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা নেমেছে পারদও। তবে চলতি সপ্তাহে পারদ চড়বে বলেই মনে করেন আবহবিদরা।

শনিবার সন্ধে থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কলকাতা-হুগলি ছাড়াও পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলা যেমন বীরভূমে বৃষ্টিপাত হয়েছে, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলেও খবর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পুবালি হাওয়ার সংঘর্ষ এবং বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের জন্য এই বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এরমধ্যেই ভূ-খণ্ডে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প প্রবেশ করেছে। এছাড়াও বিহার এবং ওড়িশা উপকূল বরাবর অবস্থান করছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই সবকিছুর প্রভাবে শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দাপট বেশ ভালোই ছিল সাথে ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর সূত্রে খবর, হাওয়ার গতিবেগ ছিল ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। তবে রবিবার পূর্বাভাস থাকলেও সেভাবে দাপট দেখায়নি বৃষ্টি কিংবা ঝোড়ো হাওয়া।

আলিপুর জানিয়েছে, সোমবার রাতেও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ভূ-খণ্ডে। যার জন্য আবহাওয়ার বদল হবে পার্বত্য অঞ্চলের এমনকি সমতলেও। শুধু তাই নয়, খামখেয়ালি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য এই সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর ভারতের কিছু রাজ্যে যেমন জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং হিমাচলে তুষারপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এইসব অঞ্চলে তুষারপাত হয় তাহলেও আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে পশ্চিমবঙ্গে। তার পাশাপাশি উত্তর ভারতের বেশ কিছু জায়গাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকবে।

রবিবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি কম। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৩৯ শতাংশ। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে গত দু’দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে তাপমাত্রা সাময়িক ভাবে কমলেও এইমাসের শেষেই ধীরে ধীরে বাড়বে গরম।

Leave a Reply

Back to top button
%d