এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন মুকুল-দিলীপ? জরুরি বৈঠকের জন্য দিল্লীতে পড়ল তলব!

বাংলা জিততে পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতেই বঙ্গ বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের দিল্লিতে জরুরি তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ l
প্রসঙ্গত বিজেপির তৃতীয়-চতুর্থ দফার যে প্রার্থী তালিকা রবিবার প্রকাশিত হয়েছে তাতে করে বাংলায় পদ্ম কর্মী-সমর্থকদের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিজেপির সদর দপ্তর হেস্টিংস-এর সামনে চলছে বিক্ষোভ। এই অবস্থায় এই অস্থির পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করতেই রাজধানীতে নেতাদের জরুরি তলব।
একইসঙ্গে শোনা যাচ্ছে, বাংলার মসনদ জিততে বিজেপির প্রদেশ অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে প্রার্থী করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বিজেপি চাণক্যের।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দিলীপকে বীরভূম ও মুকুলকে কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী করা হতে পারে l
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের মতো বিজেপিতেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে অশান্তি অব্যাহত। গতকালের পর এদিন ফের গেরুয়া কর্মীদের বিক্ষোভ চরমে ওঠে।
বিজেপির সদর দফতর হেস্টিংসের সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের l
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নামে মামলা, মমতার প্রার্থীপদ বাতিল?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম দুই দফার পর রবিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানেই পাঁচলায় টিকিট পেয়েছেন মোহিত ঘাঁটি। আর তা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ক্ষোভ জমতে থাকে পাঁচলার একাংশ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। মোহিতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন বিজেপির পুরনো কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, একমাত্র রাজীব ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই মোহিত টিকিট পেয়েছেন। মাত্র দিন পনেরো আগেই রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মোহিত। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি দেহ ব্যবসা পর্যন্ত চালানোর অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের একাংশের। প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে হেস্টিংসে বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-চূড়ান্ত হয়ে গেল বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী, কে সেই ভূমিপুত্র? জেনে নিন
পাঁচলা ও উদয়নারায়ণপুরের প্রার্থী বদলের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ওঠে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওঠে স্লোগানও। তবে সূত্রের খবর, দলীয় কর্মীদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সোমবার হেস্টিংসে বিক্ষোভের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সফর সূচি বদল করে গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় আসেন অমিত শাহ্। জরুরি বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। কী কারণে বিক্ষোভ, কোথায় সমস্যা, কী ভাবেই বা তার সমাধান করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করেন বৈঠকে।কর্মীদের অসন্তোষ প্রশমনে কিছু নির্দেশও দেন দলীয় নেতৃত্বকে। মঙ্গলবার সকালে ফের দিল্লি রওনা দেন অমিত। আর তারপরই বঙ্গ শীর্ষ নেতৃত্বকে এই জরুরি তলব তাঁর।