অনৈতিক, নোংরা কাজ করছেন তৃণমূল সভানেত্রী, বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই মহিলা কর্মীর, ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল

পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election) যতই এগিয়ে আসছে, শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল যেন আরও বেশি করে সামনে আসছে। এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের (TMC inner clash) অভিযোগ এল বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভানেত্রী সঙ্গীতা মালিকের (Sangeeta Mullick) বিরুদ্ধে অনৈতিক, নোংরা, দুর্নীতির কাজকর্ম করার অভিযোগ তুললেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শম্পা পণ্ডিত (Shampa Pandit)। তবে অভিযোগের পরও সঙ্গীতা মালিকের পাশেই দাঁড়াল দল। এই ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ শানিয়েছে বিজেপি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই কোতুলপুর এলাকার জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শম্পা পণ্ডিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল মহিলা সভানেত্রী সঙ্গীতা মালিকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেন তিনি । সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জনও শুরু হয়।
আর এবার প্রকাশ্যে গর্জে উঠে সঙ্গীতা মালিকের বিরুদ্ধে নানান দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ করলেন শম্পা পণ্ডিত। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল মহিলা জেলা সভানেত্রী সঙ্গীতা মালিক অনৈতিক, দুর্নীতি ও নোংরা রাজনীতি করে কোতুলপুরে তৃণমূলকে শেষ করে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা বেশ শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
অভিযুক্ত মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী সঙ্গীতা মালিক এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ। তবে সঙ্গীতার বিরুদ্ধে এহেন নানান অভিযোগ উঠলেও, তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল। তৃণমূল সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় দাবী করেন যে সঙ্গীতা ভালো করছে। কোনও অভিযোগ থাকলে শম্পা পণ্ডিতের দলকে জানানো উচিত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দলের এমন গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় বেশ অক্সিজেন পাচ্ছে বিজেপি। তাদের দাবী, এই গোষ্ঠীকোন্দলের মূল কারণ হল একজন সব লুটেপুটে খাচ্ছে আর অন্যজন পাচ্ছে। তাই এই দ্বন্দ্ব। ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, “দলের বিরুদ্ধে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা ওদের। একজন সব খেয়ে যাচ্ছে, বাকিরা কিছু পাচ্ছে না। তাই ঝামেলা”।