কথা রাখেনি মমতা সরকার! ভোটের আগে বিকল্প চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট ফুরোতেই নো-পাত্তা, প্রতিবাদে ধর্নায় আইপ্যাক কর্মীরা

ধর্নায় বসলেন আইপ্যাক সংস্থার কর্মীরা। সংস্থা তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তাদের। বিকল্প চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা আর দেয়নি সংস্থা বা রাজ্য সরকার। এর জেরে বিক্ষোভ দেখালেন আইপ্যাড সংস্থার কর্মীরা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের জন্য ভোট প্রচারের কাজ করে প্রশান্ত কিশোরের সমস্ত আইপ্যাক সংস্থা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসাতে আইপ্যাকের ভূমিকা অপরিসীম। তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচারে কাজে লাগানো হয় রাজ্যের নানান তরুণ তরুণীকে। আইপ্যাখ সংস্থা চুক্তিভিত্তিক কাজে নিযুক্ত করে। তাদের কিন্তু হঠাৎ তাদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণ কী?
জানা গিয়েছে, নির্বাচনের আগে তৃণমূলের তরফে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে ভোট মিটলে তাদের জন্য বিকল্প কোন কাজ বা চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এই চুক্তিভিত্তিক কাজ তাদের আর করতে হবে না। নির্বাচন মিটেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছে। কিন্তু কথা রাখেনি তাঁর দল বা আইপ্যাক সংস্থা কেউই।
নির্বাচনের আগে নিযুক্ত কর্মীদের কোন ধরনের চাকরি বা অন্য কোন কাজের ব্যবস্থা করা হয়নি। সেই কারণেই এবার বিক্ষোভ দেখিয়ে আইপ্যাক সংস্থার দফতরের অন্দরে ধর্নায় বসলেন সেই কর্মীরা।
এখানেই শেষ নয়, তাদের আরও অভিযোগ, আইপ্যাক এখনও তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। কিন্তু এখন আর তাদের সেই কাজে নিয়োগ করা হয়নি। বরং রাজ্যের বাইরে থেকে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের এনে তৃণমূলে নানান কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে। এর জেরে কার্যত কাজহারা হয়ে পড়েছেন একাধিক তরুণ তরুণী। সেই কারণেই তাদের এই বিক্ষোভ।
এর থেকেই মমতা সরকারের দিকে উঠেছে আঙুল। তাহলে কী কাজের সময় কাজি আর কাজ ফুরালেই পাজি, এই কথাটা তৃণমূলের সঙ্গে যায় না? নির্বাচনের আগে নিজেদের স্বার্থে এসব তরুণ তরুণীদের নিয়োগ করে, তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে, তাদের জন্য তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তাদেরকে আর কেন পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না, সে নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও বিক্ষোভরত কর্মীরা প্রকাশ্য কিছু বলতে চান নি। এর কারণ এটাও হতে পারে যে তারা হয়ত কোনও কারণে ভয় পেয়েছেন। কিন্তু তা বলে কী সত্যিটা কখনো গোপন রাখা যায়?