রাজ্য

প্রেমের টানে ঘরছাড়া মহিলা! ননদের স্বামীর হাত ধরে পালালেন গৃহবধূ, অপমানে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী

প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমটা যেন ফিকে হয়ে গিয়েছিল। স্ত্রীয়ের মন পাওয়ার জন্য অনেককিছু করেছিলেন, কখনও নির্মাণের কাজ করেছেন তো কখনও আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছে উঠে ডাব পেড়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু স্ত্রীয়ের মন মেলেনি। অবসাদে শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দকুমার থানার শীতলপুর গ্রামের বাসিন্দা ঈশ্বর ঘড়ুই। প্রায় বছর ১২ আগে পাশের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা প্রীতিকণাকে সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বর্তমানে তাঁদের প্রায় ১১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, প্রায় বছর দুয়েক আগে যুবকের ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় প্রীতিকণার। আর তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় তীব্র দাম্পত্য কলহ।

এর জেরে মাস দেড়েক আগে স্বামীর সংসার ছেড়ে ছোট নন্দাইয়ের হাত ধরে পালিয়ে যান ঈশ্বরের স্ত্রী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গত সপ্তাহে রাধামনি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের। সে যাত্রায় বাড়ি ফিরে আসেন প্রীতিকণা। এর চারদিন পর গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফের প্রেমিকের হাত ধরে পালান ওই গৃহবধূ। এতেই তীব্র মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েন ঈশ্বর।

গত রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ নিজের ঘরে পাখার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থাতে তাঁকে নন্দকুমারের গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের মর্গে তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের বড়দাদা শম্ভু ঘড়ুই বলেন, “মাসদেড়েক আগে ভাইয়ের স্ত্রী বোনের বরের সঙ্গে ভালোবাসার টানে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল। বহু চেষ্টার পর তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা হলেও আবার পালিয়ে যায়। তার জেরেই মনের দুঃখে গলায় দড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ভাই”।

শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাকলি জানা এই বিষয়ে বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটা অশান্তি চলছিল। এর ফলে স্বামীকে ফেলে স্ত্রী পালিয়ে যায়। আর তারই জেরে এই ঘটনা ঘটেছে”।

Back to top button
%d bloggers like this: