কোটি কোটি টাকার ঋণ, মাল নদীতে এতজনের মৃত্যু, দুর্নীতি থেকে নজর সরাতেই কার্নিভাল করছে সরকার, শাসকদলকে কটাক্ষ রুদ্রনীলের

গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে দুর্গাপুজোতে বেশ কিছুটা ভাটা পড়েছিল বতে। তবে এই বছর বেশ ভালোভাবেই সেই আগের ছন্দে পালন হয়েছে দুর্গাপুজো। এই কারণে এই বছর কার্নিভালের আয়োজনও করা হয়েছে রেড রোডে। শহরের নানান নামীদামী পুজো মণ্ডপের প্রতিমার শোভাযাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এর আগেই এবার শাসক দলকে কটাক্ষ শানালেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
সরকারের উপর কোটি কোটি টাকার দেনা, মাল নদীতে এত মানুষের মৃত্যু, তা সত্ত্বেও সরকার কার্নিভালের অনুমতি দিল কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর কথায়, রাজ্য সরকার নিজের দেদার দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই কার্নিভাল করে প্রচার চালাচ্ছে।
চূড়ান্ত কটাক্ষ শানিয়ে রুদ্রনীল বলেন যে কার্নিভ্যাল বিষয়টা সম্পূর্ণ ভাবেই রাজনৈতিক। নানান দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্যই এই প্রচার চালানো হচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। রুদ্রনীলের কথায়, রাজ্য সরকারের উপরে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ কোটি টাকা ঋণ বাম শাসনের সময়েই তৈরি হয়েছিল।
একের পর এক দুর্নীতি, চুরি করে তৃণমূল নিজের ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারি চাকরি দিতে পারছে না, বেতন দিতে পারছে না। আর অন্যদিকে জেলায় জেলায় কার্নিভাল হচ্ছে। রুদ্রনীলের মতে, এতে রাজ্যের অর্থনীতি আরও ভেঙে পড়বে।
শুধু তাই-ই নয়, দশমীর দিন রাতে মাল নদীতে হড়পা বানের জেরে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য সরকার ও প্রশাসনের উদাসীনতাই দায়ী বলে মনে করছেন রুদ্রনীল। এসবের মধ্যে সরকার কীভাবে কার্নিভালের অনুমতি দিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা।
এর পাল্টা তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদার দাবী করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বর্ণাঢ্য উৎসবকে সাধারণ ভাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্যই কার্নিভ্যাল করা। এতে অর্থনীতির উন্নতিই হবে”। মাল নদীর দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি আরও বলেণ, “ঘটনাটা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কিন্তু রাজনীতি করার জন্য কার্নিভ্যাল বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের ভাল হোক তা বিজেপি চায় না”।