সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir) এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। দেশের বিভিন্ন মুসলিম নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় মুনির যুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রতি তার ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি শোনার পর অনেকেই অবাক হয়েছেন।
মুনিরের বক্তব্যে উঠে এসেছে, ভারতের সঙ্গে চলা যুদ্ধে পাকিস্তান সরাসরি আল্লার সাহায্য পেয়েছিল। তিনি দাবি করেন, “যুদ্ধের কঠিন সময়ে আল্লাহ আমাদের পাশে ছিলেন। আমরা সেই সাহায্য সরাসরি অনুভব করেছি।” পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য দেশজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করার মতো যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। তিনি বারবার কোরানের আয়াত উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের জন্য ইসলামের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।
এছাড়া মুনির ১৪০০ বছর আগের আরবের ইসলামি রাজ এবং বর্তমান পাকিস্তানের অবস্থার মধ্যে তুলনা টানেন। তার মতে, পাকিস্তান বিশ্বে মুসলিম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বিশেষ আশীর্বাদের অধিকারী। “৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে আল্লা পাকিস্তানকে সৎ মুসলিমদের রক্ষক হিসেবে গড়ে তুলেছেন,” তিনি আরও জানান। এই মন্তব্য পাকিস্তানিদের মধ্যে দেশপ্রেম ও ধর্মীয় অহংকার উসকে দেওয়ার মতো অভিপ্রায়বাহী বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি মুনির আফগানিস্তানকেও নিশানায় এনেছেন। পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (TTP) মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে হবে। মুনিরের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীদের মধ্যে আফগান নাগরিকও রয়েছে, যা পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।
আরও পড়ুনঃ Humayun Kabir : নতুন দল ঘোষণার দিনই বড় চমক—মালদহ–মুর্শিদাবাদ ছাড়িয়ে কলকাতার বালিগঞ্জেও প্রার্থী ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের!
পাশাপাশি তিনি অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। ভারতের নিখুঁত প্রতিশোধী হামলায় পাকিস্তানের শতাধিক জঙ্গি খতম হয়, কিন্তু এরপরও পাকিস্তান যুদ্ধজয়ের মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মুনির সেই মিথ্যাকে সমর্থন করতে আল্লাহর সাহায্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করেছেন। সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।





