বাংলাদেশ

আগামী ঈদের দিন ঢাকার গুলশানকে নিশানা করেছে ISIS জঙ্গি সংগঠন, হত্যালীলা রুখতে তৎপর প্রশাসন

আগামী শনিবার ঈদ পালিত হবে বাংলাদেশ জুড়ে। আর সেদিনই বাংলাদেশকে নিশানা বানানোর ছক কষছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন গুলি। তাদের নিশানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত পল্লি গুলশান। কারণ সেখানে সাধারণ এলাকার বাসিন্দার পাশাপাশি রয়েছে, ভারত-সহ একাধিক দেশের দূতাবাসও। এর আগেও গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে আক্রমণ চালিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। এবার ফের একবার নিশানায় রয়েছে গুলশান।

সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল থেকেই গুলশানের বিভিন্ন রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সমস্ত অধিক জমায়েতপূর্ণ স্থানেও। যেমন শপিংমল, আবাসিক এলাকায়। এছাড়া কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে কূটনীতিক এলাকাতেও।

পুলিশের কাছে খবর রয়েছে, এবার সংগঠনগুলির নিশানায় রয়েছে বিমানবন্দর, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী, বিদেশি দূতাবাস ও ধর্মীয় স্থান। আর এমনিতেই শনিবার বাংলাদেশে ঈদ উল-আজহার অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই দিনই বাংলাদেশকে আক্রমণ করে ‘বেঙ্গল উলায়াত’ ঘোষণার প্ল্যান বানিয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক কোনো এলাকায় নাশকতা চালিয়ে উলায়াত ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মহম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, জঙ্গি সংগঠনগুলি বেঙ্গল উলায়াত বলতে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখাকে বোঝানো হয়েছে। তাই সেদিন এরা বাংলাদেশে হত্যালীলা চালিয়ে উলায়াত জারি করার কথা বলেছে। মাঝে মাঝে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তারা এ ধরনের শাখা ঘোষণা করে থাকে।

পুলিশের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ওইদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা অবধি বা সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের হামলা চালানোর আশঙ্কা রয়েছে। হামলাকারীর সম্ভাব্য বয়স ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে থাকতে পারে। তাদের হাতিয়ার হতে পারে টাইম বোমা বা গ্রেনেড। এমনকি ধারাল অস্ত্র দিয়েও এরা হামলা চালাতে পারে।

তবে এদের নিশানায় এবার থাকতে পারে, পুলিশ প্রশাসন ও তাঁর যাবতীয় জিনিস, বিমানবন্দর, বিভিন্ন দূতাবাস বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও মায়ানমার বা এসব দেশের মানুষ এবং স্থাপনা এবং ধর্মীয় স্থান (শিয়া ও আহমদিয়া মসজিদ, মাজারকেন্দ্রিক মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডা)। তাই এই সম্ভাব্য স্থানগুলোতে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Back to top button
%d bloggers like this: