ছাদনাতলায় হঠাৎ দেখা প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে, হবু বরকে বিয়েই করতে চাইলেন না কনে, প্রবল শোরগোল বিয়েবাড়িতে

আজকাল বিয়েবাড়িতে কত ধরণের অদ্ভুত সব ঘটনাই না ঘটে থাকে। কোথাও বরপক্ষ-কনেপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তো কোথাও আবার বরপক্ষের পণের দাবীর জন্য ভেস্তে যায় বিয়ে। তবে এবার অন্য ধরণেরই ঘটনা ঘটল বিয়েবাড়িতে যা সকলকে বেশ তাজ্জব করেছে। এই ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
বেশ ধূমধাম করেই আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের। পাত্র ও পাত্রীর দু’জনেরই সম্মতি ছিল বিয়েতে। সমস্ত আয়োজন শেষ। এবার শুধু বিয়ে মেটার অপেক্ষা। ছাদনাতলায় হাজির বর ও কনে। কিন্তু এমন সময়ই ঘটে গেল এক ঘটনা যার জেরে বিয়েবাড়িতে পড়ে গেল হুলস্থূল। ছাদনাতলায় দাঁড়িয়ে কনের সঙ্গে দেখা তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের। ব্যস, সেই তাকানোতেই সর্বনাশ। প্রাক্তন প্রেমিককে দেখেই জেগে উঠল পুরনো প্রেম। কনে সটান জানিয়ে দিলেন এই বিয়ে তিনি করতে পারবেন না। শুনতে রূপকথার গল্প লাগলেও এমন ঘটনা সত্যিই বাস্তবে ঘটেছে।
কী ঘটেছে গোটা ঘটনাটি?
এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের কোলালা শহরে। কয়েকদিন আগে সেখানকার এক বিয়েবাড়িতে হঠাৎ ভোলবদল হয় এক কনের। বিয়ের নিয়ম শুরু হতেই আচমকাই বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু দুই বাড়িতে রীতিমতো কথাবার্তা বলেই ঠিক হয়েছে বিয়ে। পাত্র-পাত্রী দুজনেই একে অপরকে পছন্দ করেই রাজি হয়েছেন। তাহলে শেষ মুহূর্তে কেনই বা বিয়েতে নারাজ হলেন পাত্রী? বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত সকলে বেশ তাজ্জব হয়ে যান।
কী জানা গেল শেষে?
অবশেষে কনে নিজেই জানালেন বিয়েতে রাজি না হওয়ার কারণ। তিনি বলেন, ওই বিয়ের আসরেই উপস্থিত কনের প্রেমিক। শুভদৃষ্টির আগেই তাঁকে দেখতে পেয়েছেন কনে। সেই কারণে ভালোবাসার মানুষকে ছেড়ে অন্য় কোনও পুরুষের গলায় মালা পরাবেন না তিনি।
বেশ অনেকদিন ধরেই ওই যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল কনের। কিন্তু তাঁর পরিবারের সেই সম্পর্কে মত ছিল না। বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক করায় মনের দুঃখ চেপে রেখেই বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন কনে। কিন্তু বিয়ের আসরে প্রেমিককে দেখে আর নিজের মনের ইচ্ছে চেপে রাখতে পারলেন না কনে। জানিয়ে দিলেন, প্রেমিককে ছাড়া আর কারোর সঙ্গেই তিনি সাত পাকে ঘুরবেন না।
কনের থেকে এমন কথা শুনে বেশ রেগে যান পাত্র-সহ পাত্রপক্ষের সকলেই। কেন এভাবে মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তারা। শেষ পর্যন্ত বরপক্ষকে ফিরে যেতেই হয়। অন্যদিকে, মেয়ের জেদের কাছে হার মেনে শেষ পর্যন্ত ওই প্রেমিকের সঙ্গেই কনেকে বিয়ে দিতে বাধ্য হয় কনেপক্ষ।