ব্যাঙ্কের লকার থেকেই গায়েব ৮ লক্ষ টাকার গয়না, চরম অভিযোগ Axis Bank-এর বিরুদ্ধে, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

ব্যাঙ্কে গ্রাহকরা নিজের অর্জিত অর্থ বা গয়না গচ্ছিত রাখেন নিরাপত্তা পেতে। ব্যাঙ্কের লকারে নিজেদের মূল্যবান জিনিস সে গয়নাগাটি হোক বা কোনও দরকারি কাগজপত্র রাখা হয় যাতে তা সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু সেই ব্যাঙ্কের লকার থেকেই যদি গয়না উধাও হয়ে যায়, তাহলে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ?
Axis Bank-এর বিরুদ্ধে এবার উঠল এক গুরুতর অভিযোগ। সেই বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক মহিলা গ্রাহকের দাবী, Axis Bank-এর কাঁকুড়গাছি শাখা থেকে তাঁর ৮ লক্ষ টাকার গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। কোনও হদিশ মিলছে না সেই গয়নার।
কী দাবী ওই মহিলা গ্রাহকের?
মহিলার কথায়, ২০২২ সালের ১৫ই ডিসেম্বর উক্ত ব্যাঙ্কে একটি লকার খুলেছিলেন তিনি। এরপর ২২শে ডিসেম্বর তিনি সেই লকারে তাঁর মেয়ের বিয়ের গয়না রাখেন। চলতি বছরের ২৩শে জুন তিনি ব্যাঙ্কের লকারে থেকে কিছু বের করতে গিয়ে দেখেন যে লকারে বেশ কিছু গয়না নেই।
মহিলা জানান, ওই উধাও হওয়া গয়নার মধ্যে রয়েছে একটি সোনার হার, হিরের আংটি, সোনার চিরুনি, অ্যান্টিক হেয়ার পিন, ও আংটি। সব মিলিয়ে সেই গয়নার মূল্য হবে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। এই সমস্ত গয়নার কোনও হদিশ মিলছে না বলে দাবী মহিলার।
কী অভিযোগ করেছেন মহিলা?
ওই মহিলা গ্রাহকের অভিযোগ, গত ২৩শে জুন তিনি যখন ব্যাঙ্কে যান, তখন নিজের চাবি দিয়ে লকার খোলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তা খুলতে পারেন না। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ডাকলে তারাও চেষ্টা করেন কিন্তু লকার খোলে নি। মহিলা জানান, এরপর এক ব্যাঙ্ক কর্মী ওই চাবি নিয়ে ব্যাঙ্কের উপরতলায় যান। প্রায় ৭-৮ মিনিট পর তাঁকে এসে চাবিটি দেন ওই কর্মী। সেই চাবি দিয়ে লকার খোলেন মহিলা।
মহিলার দাবী তখনই তিনি লক্ষ্য করেন যে একাধিক গয়না নেই তাঁর লকারে। মহিলা গ্রাহক মনে করছেন, ব্যাঙ্ক থেকে হয়ত তাঁকে আগেই ভুল চাবি দেওয়া হয়েছিল তাই প্রথমে চেষ্টার পরও লকার খোলে নি। পরে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী আসল চাবি উপর থেকে নিয়ে এলে লকার খোলে। তিনি এও মনে করছেন, হয়ত তাঁর আঙুলের ছাপও নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
এই ঘটনায় মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। মানিকতলা থানার পুলিশ ও লালবাজারের ডাকাতি দমন শাখা একসঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের তরফে সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না দেওয়া হলেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে, আসল ঘটনা অবশ্যই সামনে আসবে। তবে এহেন ঘটনার জেরে Axis Bank-এর নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন বাকি গ্রাহকরা।