কলকাতা

প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাসে কেন সরস্বতী পুজোর অনুমতি দেওয়া হল না? প্রশ্ন তুলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মদনের, নিশানা করলেন বিজেপিকেও

অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদালয়ের গেটের বাইরেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই পুজোয় হাজির ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। হাতেখড়ি দেওয়ানো থেকে সংবিধানের পাঠ, সবই দিলেন তিনি। ক্যাম্পাসের ভিতর পুজো না করতে দেওয়ার কারণে ক্ষোভও উগড়ে দিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উপর।

লাল ধুতি সঙ্গে জমকালো পাঞ্জাবি, এমন পোশাকেই এদিন পৌঁছলেন তিনি প্রেসিডেন্সির চত্বরে। চোখে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ রোদচশমা। পুজোর তদারকি করে পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রাণখোলা আড্ডাও দিলেন বিধায়ক। কচিকাঁচাদের হাতেখড়িও দেওয়ালেন তিনি। এরপরই ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রেসিডেন্সির কর্তৃপক্ষের উপর।

মদনের কথায়, “ধর্ম যাঁর যাঁর, উৎসব সবার। আমার ধর্ম এখানে পালন করতে দেওয়া হল না। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাব”। এখানেই থেমে থাকেন নি তিনি। নিশানা করেছেন বিজেপিকেও।

কামারহাটি বিধায়কের দাবই, “প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা উচিত ছিল বিজেপির। কেন্দ্রের উচিত ছিল নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানতে চাওয়া, কেন প্রেসিডেন্সিতে পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না”? ভবিষ্যতে ক্যাম্পাস চত্বরেই ‘অকাল’ সরস্বতী পুজো করার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন মদন মিত্র এদিন।

প্রসঙ্গত, ২০৬ বছর ধরে প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাসে কোনও পুজো হয়নি। তবে এবার সেই রীতি ভেঙেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না মেলায় ক্যাম্পাসের বাইরেই সরস্বতী পুজো করেছে তারা। বাগদেবীর আরাধানার জন্য তাদের থিম ‘দেশ সেক্যুলার, প্রেসিডেন্সি সেক্যুলার’। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী তথা মহিলা পুরোহিত রাজন্যা হালদার এই পুজো করেছেন।

Back to top button
%d