কলকাতা

‘কাউকে রেয়াত করা হবে না’, স্বপ্নদীপের বাবাকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় দায়ের খু’নের মামলা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যু নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। এবার এই ঘটনায় হোস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে খু’নের মামলা দায়ের করলেন মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডু। তবে নির্দিষ্ট করে কারোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নি তিনি। স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে বেশ অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে। তাঁর পরিবারের তরফে দাবী, তাদের ছেলের মৃত্যুর সঙ্গে র‍্যাগিং জড়িত। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ গোটা বাংলা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল, কীভাবে মৃত্যু, কীভাবে পড়ে গেল ওই ছাত্র, তা নিয়ে নানান মহলে চলছে নানারকম জল্পনা।

তবে কী র‍্যাগিংয়েরই শিকার স্বপ্নদীপ?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের বলিই কী তবে প্রথম বর্ষের ছাত্র? জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের বক্তব্য, “তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের আমরা বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে, কী হয়েছে এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না”। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতেই যাদবপুরের ১০ থেকে ১৫ ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এবার পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বিশ্বাস, এই ঘটনার নেপথ্যে হস্টেলের ভূমিকা রয়েছে।

কী জানান মুখ্যমন্ত্রী?

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে নিহত স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান, স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার নেপথ্যে যে বা যারাই জড়িত থাক না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কী বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?

স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রের মাথার বাঁ দিকের হাড়ে চিড় ছিল। বাঁ দিকের পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যায়। কোমরও ভেঙে গিয়েছিল। তবে স্বপ্নদীপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল গুরুতর। সেটা কেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের ধারা রুজু করল পুলিশ।

Back to top button
%d bloggers like this: