গলায় ব্লেড চালিয়ে ভিক্টোরিয়ার সামনে থেকে অপহরণ, কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

ধানবাদ থেকে কলকাতা এসেছিলেন চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু এখানে এসে যে অপহরণ হতে হবে, তা হয়ত কল্পনাও করেননি ব্যক্তি। অপহরণের ঘটনায় তদন্তে নেমে দু’জনকে আপাতত গ্রেফতার করেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে শহর কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে ফের একবার উঠল প্রশ্ন।
কী ঘটেছে গোটা ঘটনাটি?
এই অপহরণের ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সাউথ গেটের সামনে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক ব্যক্তি ধানবাদ থেকে দুই ভাইপোকে নিয়ে কলকাতা এসেছিলেন এখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য। চিকিৎসার ফাঁকে গত ১৩ তারিখ ভিক্টোরিয়া ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা। সেই সময়ই ঘটে অপহরণের ঘটনা।
ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ভিক্টোরিয়ার নর্থ গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাইপোরা ভুল করে ভিক্টোরিয়ার সাউথ গেট দিয়ে বের হয়। সেই সময় এক ব্যক্তির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই ব্যক্তির এক ভাইপোর। ধাক্কা লাগা ব্যক্তিটি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পকেট থেকে একটি ভাঙা মোবাইল বের করে দাবী করে যে ধাক্কার জেরে নাকি তার ফোন ভেঙে গিয়েছে।
৬ হাজার টাকা দাবী করেন ওই ধাক্কা লাগা ব্যক্তি। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই আচমকাই পকেট থেকে ব্লেড করে তা গলায় ঠেকায় ওই যুবকের। তাঁকে টেনে একটি বাসে তোলা হয়। দাদাকে দেখে ছোটো ভাইও বাসে ওঠে। পরে টাকা দিতে মুক্তি পান তারা।
এই বিষয়টি জানার পর ভাইপোদের নিয়ে হেস্টিংস থানার দ্বারস্থ হন ধানবাদের ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমেই গতকাল, শুক্রবার একবালপুর এলাকা থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ।
পাশাপাশি ক্লিন্টন রডনি কোলহফ, শেখ ফয়জল নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজন অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে ওই পলাতকের বিষয়ে খোঁজখবর করছে পুলিশ। একবালপুরের মোমিনপুর রোডের কাছে তাদের ডেরা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত করণ কুমারকে। পুলিশের অনুমান, এভাবেই বহিরাগতদের টার্গেট করে টাকা হাতাচ্ছে ওই চক্র।