বিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত, দলবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগ, হুমায়ুনের পরেবার জলঙ্গির বিধায়ককে শোকজ করল তৃণমূল

দলবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগে এবার জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে শোকজ করল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে জলঙ্গির বিধায়কের বেশ দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আর তা আরও বেশি প্রকট হয় সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের সময়। এসবের মধ্যেই আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে শোকজ় করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।
কী জানাল দল?
গতকাল, শুক্রবার তৃণমূলের জলঙ্গি কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে শোকজ করার কথা জানালেন বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়। তিনি বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্বেও বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম সরকার উপস্থিত থেকেও স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোট দেননি। দলের কাছে এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। তাই বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল ও জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম সরকারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে”।
বিধায়ক দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন
বেশ ক্ষোভ জারি করেই এদিন শাওনি সিংহ রায় বলেন, “চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বিধায়ক। তিনি সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত করে যেভাবে কার্যকলাপ করছেন তাতে দলের ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে। সর্বোপরি দল ও কর্মীদের অপমান করা হচ্ছে”।
জলঙ্গি উত্তর জোনের সভাপতি বিষ্ণু সরকারকেও এই একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান শাওনিদেবী। তাঁর কথায়, “দলকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব না দিয়ে সভাপতি বিষ্ণু সরকার যেভাবে প্রতিটি জায়গায় সিপিএম ও কংগ্রেসকে সুযোগ করে দিয়েছেন। সেটা মেনে নেওয়া যায় না”। তাঁর অভিযোগ, বারবার সতর্ক করা সত্বেও তাঁরা দলের কথা শোনেননি।
কী বক্তব্য শোকজ হওয়া বিধায়কের?
এই বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, “কারণ জানতে চাইলে অবশ্যই জানাব, অসুবিধা কোথায়? তবে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে এটাও বলব, জলঙ্গি দক্ষিণ চক্রে অশ্বমেধের ঘোড়া ছেড়ে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নালিশ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না”।
তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে শেষ কথা বলে জনগণ। আমি জনগণের সঙ্গে আছি। বিষয়গুলি আমিও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরব”।