কলকাতায় ‘স্নো ফল’! গোটা শহর ঢেকে গেল সাদা বরফে, ভিক্টোরিয়া থেকে হাওড়া ব্রিজ ঢাকা তুষারের চাদরে, হচ্ছেটা কী চারিদিকে?

বেশ জাঁকিয়ে শীত পড়েছে কলকাতায়। কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথবু শহরবাসী। শহর কলকাতা ঢেকে গেল বরফে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে শুরু করে হাওড়া ব্রিজ ঢেকে গিয়েছে সাদা তুষারের চাদরে। কলকাতার বিখ্যাত হলুদ ট্যাক্সিতে সাদা বরফ, সে যে কী মনোরম দৃশ্য!
কী? ভাবছেন তো পাগলের প্রলাপ? আজ্ঞে না। এসবই সত্যি। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নেটপাড়া একটু ঘুরলেই চোখে পড়বে এমনই সব ছবি। কলকাতায় এমন বরফ পড়ার দৃশ্যের ছবি কার্যত এই মুহূর্তে ভাইরাল।
কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ঢেকে গিয়েছে সাদা বরফে। চারিদিকে শুধু বরফ। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে হাওড়া ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার উপর জমেছে বরফের পুরু স্তর। কোনও ছবিতে দেখা আবার দেখা যাচ্ছে শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তির উপরেও জমে রয়েছে বরফ। আর সেই ছবি দেখতে দেখতে হেসে গড়িয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। মুহূর্তেই ভাইরাল কলকাতায় তুষারপাতের এইসব আশ্চর্য ছবি।
জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামের ‘কলকাতার গল্প’ নামের একটি প্রোফাইল থেকে এই ছবিগুলি পোস্ট করা হয়েছিল। সেই ছবি এবার ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকেও। সেই বরফে ঢাকা কলকাতার নানান ছবি দেখে বেশ মজাই পেয়েছেন নেটিজেনরা। বলাই বাহুল্য, আসলে কলকাতায় ‘স্নো ফল’ হয়নি। আদৌ কখনও হবে কী না, তা-ও সন্দেহ। অনুমান, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়েই এমন ছবি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এমন নিখুঁত ছবি দেখে কেউই যেন চোখ ফেরাতে পারেন নি। সকলের মনে একবার হলেও এই ভাবনা তো উঁকি দিয়েইছে যে সত্যিই যদি তিলোত্তমাতে বরফ পড়ত।
আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। জেলায় আরও ২-৩ ডিগ্রি কম। উত্তুরে হাওয়ার দাপটেই এই পারদ পতন বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই প্রথম ১২ ঘরে নেমেছে কলকাতার তাপমাত্রা। আবহবিদদের কথায়, আজ মরশুমের শীতলতম দিন।
এমন ঠাণ্ডার দিনে শীত নিয়ে নানান ছবি, নানান মিম, মজার কথা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লিখেছেন, “আজ স্নান করতে পারলে তাঁর সাহসিকতা পুরস্কার পাওয়া উচিত”। আবার কেউ লিখেছেন, “বরফ পড়ার মতো জবুথবু শীত”। কেউ আবার এসব পার করে দাবী করেছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি শীতকালে স্নান করতে গিয়েই লিখেছিলেন আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে! এটি নাকি তাঁর ‘বাথরুম’ পর্যায়ের গান”।