নিউজরাজ্য

এই সপ্তাহেই হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল, মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বাংলার নেতা-সহ মোট ১৮

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে চর্চা বেশ তুঙ্গে। এই সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিদন এই বিষয়ে আলোচনার জন্য নিজ বাসভবনে একটি বৈঠক করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারমণ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, ও আরও অনেকেই।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৮ জন নতুন মুখকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে পারেন মোদী। এর আগে এই বিষয় নিয়ে অমিত শাহ ও সলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্যই এই রদবদল।

জানা যাচ্ছে, মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারের মূলে ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিতের, দিলেন ‘দিদি’র অনুগত সৈনিক হওয়ার বার্তা

এছাড়াও জায়গা পেতে পারেন বৈজন্ত পাণ্ডাও। বাংলা থেকে বেশ কিছু নাম উঠে আসছে মন্ত্রিসভার জন্য। এদের মধ্যে রয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক, ব্যারাপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, হুগলীর লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদীকেও মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, বর্তমানে এনডিএ শরিক দলগুলির মধ্যে থেকে মন্ত্রীর সংখ্যা মাত্র এক। এই পরিস্থিতিতে জেডিইউ থেকে দুই জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এলজেপিকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া না-ও হতে পারে।

বলে রাখি, বর্তমানে মোদীর ক্যাবিনেটে ৫৩ জন মন্ত্রী রয়েছেন। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় ৭৯ জন মন্ত্রী রাখা যায়। ফলে সম্প্রসারণের বিস্তর জায়গা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশিজনকে মন্ত্রিসভায় এনে দায়িত্ব বণ্টন করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

বর্তমানে মোদীর মন্ত্রিসভায় ২১ জন মন্ত্রী রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন ৯ জন স্বতন্ত্র দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজ্যমন্ত্রী এবং ২৯ জন রাজ্যমন্ত্রী। বেশ কয়েকদিন ধরে সকল মন্ত্রী এবং তাদের মন্ত্রকের রিভিউ হয়। সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বিশ্লেষণ করার পরই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

Back to top button
%d