আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, ঢাকা সফরের আগে ‘বঙ্গবন্ধু’র স্মৃতিচারণা মোদীর

করোনা অতিমারির পর এটাই মোদীর প্রথম বিদেশ সফর। দু’দিনের জন্য বাংলাদেশের সফরে মোদী। এর আগেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদী ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, “আমাদের দু’দেশকে একসঙ্গে এমন সোনালী ভবিষ্যতের দিকে এগোতে হবে, যেখানে মানুষ পড়াশোনা, কাজ, ব্যবসা, সবই আরও সহজে করতে পারবে উপমহাদেশ জুড়ে”।
মোদীর মতে, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত। বাংলাদেশী জাহাজ এখন উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ঘাটে পৌঁছয়। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কার্গো বিমান পরিষেবাও দ্রুত শুরু হবে, এমনকি, বাংলাদেশ থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেই পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন হবে বলে জানান মোদী।
এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন যে ১৯৭৫ সালে পরিবারের সদস্য-সহ বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হয়। তাঁর দুই কন্যা, শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা তখন দেশে ছিলেন না। মোদীর কথায়, এই নির্মম সত্য এখনও সকলের কাছে স্পষ্ট নয়।
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেরিতে হলেও ধীরে ধীরে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের জটিলতা বেশ খানিকটা কমেছে। এই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা হয়ত অনেক আগেই জটিলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারতাম”।
তবে মোদীর মতে সব কিছু ভুলে এখন এগিয়ে চলার সময়। তিনি বলেন, “এখনও নতুন সূর্যোদয় সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থিক সমৃদ্ধির পথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলি সফল হবে বাংলাদেশে। এখন আরও একবার শক্ত করে হাত ধরার সময়। বঙ্গবন্ধু থাকলেও তাই-ই করতেন”।
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়েই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয় আপামর বাঙালি। এদিন ঢাকার রাজপথ এজে উঠেছে রঙে রঙে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের আগেই বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর, সড়ক, সব জায়গা ভারত ও বাংলাদেশের পতাকায় সুসজ্জিত। মোদী ও হাসিনার বড় বড় ছবি শোভা পাচ্ছে নানান জায়গায়। বড় বড় করে লেখা হয়েছে, ‘স্বাগতম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।