দেশ

Bizzare Incident: মণ্ডপ থেকে পগারপার বর, নিমন্ত্রিত অতিথিকেই বিয়ে করলেন অসহায় কনে!

একেই বলে ভাগ্যের ফের! কী হওয়ার কথা ছিল আর কী হয়ে গেল। এতদিন ধরে যার সঙ্গে বিয়ের স্বপ্ন দেখলেন, আকাশ-কুসুম ভাবলেন তাকে নিয়ে, নতুন সংসার গড়ার স্বপ্ন, সব এক নিমেষে ভেঙে চৌচির। সব ছেড়ে শেষ পর্যন্ত নিমন্ত্রিত খেতে আসা এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির গলায় দিতে হল মালা। এইজন্যই বোধ হয় বলে, জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। কখন যে কী হয় কিছুই বলা যায় না।

উক্ত ঘটনাটি শুনতে একটু ফিল্মি লাগলেও ঘটনাটি সত্যি। এমনই কাণ্ড ঘটেছে কর্ণাটকের চিকমাগালুরু জেলার তারিকেরে তালুকে। বিয়ের ঠিক আগেই বর পগারপার। শেষ পর্যন্ত বিয়ের সাজে থাকা হবু স্ত্রী বিয়ে করলেন নিমন্ত্রিত খেতে আসা এক ব্যক্তিকে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার সিন্ধু ও নবীনের বিয়ের সব ঠিক ছিল। দিনমতো সবাই পৌঁছেও গিয়েছিলেন বিয়ের আসরে। কিন্তু যে বিয়ে করবে, তাঁরই দেখা মিলল না। জানা গিয়েছে,হবু বর নবীনের দীর্ঘদিন ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাকে বিয়ে না করে নবীন অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করতে উদ্যত হন। এমন সময় তাঁর বান্ধবী তাকে হুমকি দেয় যে সে যদি অন্য কাউকে বিয়ে করে, তবে সে আমন্ত্রিতদের সামনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে। উপায় না দেখে, বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে বান্ধবীকে নিয়ে পালায় নবীন।

এদিকে, মেয়ের বাড়িতে সকলের মাথায় হাত। বর পালিয়েছে শুনে কেঁদে আকুল কনে সিন্ধু। পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্য পাত্রের খোঁজ পড়ে। তবে ভাগ্য বেশ প্রসন্নই ছিল যে হাতের কাছেই সুপাত্র জুটে গেল। এই বিয়েতেই নিমন্ত্রিত ছিলেন বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের জনৈক বাস কনডাক্টর চন্দ্রাপ্পা। স্থির হয় তাঁর সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে সিন্ধুকে। এদিকে পণ্ড হয়ে যাওয়া বিয়ে বাঁচাতে ও নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফেরার আশায় বেশ রোমাঞ্চিত বোধ করেন চন্দ্রাপ্পা। বিয়ে করতে রাজী হয়ে যান তিনি।

ব্যস, এই পরেই প্রজাপতায়ে নমঃ। চার হাত মিলল সিন্ধু ও চন্দ্রাপ্পার। পেহায় চিকিৎসক, এমবিবিএস সিন্ধুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পেশায় বহুজাতিক সংস্থার কনসালট্যান্ট নবীনের সঙ্গে, কিন্তু ভাগ্যচক্রে তিনি হয়ে গেলেন বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের জনৈক বাস কনডাক্টরের স্ত্রী।

Back to top button
%d bloggers like this: