হরিহর আত্মাই বটে! ক্যানসারে মৃত বন্ধুর শোকে বিহ্বল, আচমকাই বন্ধুর চিতায় ঝাঁপ দিলেন যুবক, তুমুল চাঞ্চল্য

হরিহর আত্মাই বলা যায় তাদের। একসঙ্গে স্কুলে পড়েছেন। এমনকি, দু’জনে বিয়েও করেছিলেন একই দিনেই। মৃত্যুও এই অটুট বন্ধুত্বের বাঁধন ভাঙতে পারবে না, এমনই কথা দিয়েছিলেন একে অপরকে। আর সেই কথা রাখতে গিয়েই বোধ হয় বন্ধুর চিতায় ঝাঁপ দিয়ে দিলেন আরেক বন্ধু। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁর। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের মাদিয়া নাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা অশোক কুমার। বয়স ৪০ বছর। মাস ছয়েক আগে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। গত শনিবার মৃত্যু হয় অশোকের শেষকৃত্য চলার সময় অশোকের চিতায় আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর বন্ধু গৌরব সিং।
পরিবার সূত্রে খবর, অশোক ও গৌরব হরিহর আত্মা ছিলেন। একসঙ্গেই স্কুলে পড়তেন তারা। এমনকী, দুই বন্ধু একই দিনে একসঙ্গে বিয়েও করেছিলেন। দু’জনে একসঙ্গে বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন তারা। অশোক ঢোল বাজাতেন আর মঞ্জিরায় তাঁকে সঙ্গ দিতেন গৌরব। নানান বিয়ের অনুষ্ঠানেও ডাক পেতেন দুই বন্ধু।
কিন্তু ৬ মাস আগে গোটা চিত্রটাই বদলে যায়। ক্যানসার ধরা পড়ে অশোকের। ধীরে ধীরে শরীর ভাঙতে শুরু করে তাঁর। ঢোল বাজাতে আর পারতেন না তিনি। অবশেষে গত শনিবার সমস্ত যন্ত্রণার মুক্তি হয় অশোকের। মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর শেষকৃত্য চলাকালীন ঘটে যায় এক ঘটনা। আচমকাই অশোকের চিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন গৌরব। বাকিরা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে। কিন্তু গৌরবের শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে নাংলা খাংগার থানার ইনচার্জ মহেশ সিং জানান, “শেষকৃত্য চলছিল। অশোকের পরিবারের সদস্যরা ধীরে ধীরে শ্মশান ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গৌরব সেখানে থেকে গিয়েছিলেন। আচমকাই তিনি চিতায় ঝাঁপ দেন”।