হলিউডের স্বপ্ন সুশান্তের ডায়েরি জুড়ে, মুম্বই পুলিশের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

২০২০ সালে হলিউডে পা রাখার ইচ্ছা, নিজস্ব স্টার্টআপ সংস্থা, প্রোডাকশন হাউস, বেছে বেছে বিখ্যাত ট্যালেন্টদের সঙ্গে কাজ করার, লস এঞ্জেলেসে বাড়ি তৈরি করার, কাজে সহায়তা করার জন্য আইনজীবী বোন প্রিয়াঙ্কা ও মেঘাকে টিমের প্রধান করার ইচ্ছা –ডাইরির পাতায় সুশান্ত সিং রাজপুত এর নিজের হাতে লেখা ভবিষ্যতের স্বপ্ন যেখানে হতাশার চিহ্নমাত্র নেই। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে নতুন ধোঁয়াশা, এমন একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ কি করে আত্মহত্যা করতে পারে?
সুশান্ত সিং রাজপুত-এর মৃত্যুর পর থেকেই তার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা শুরু হয় দেশজুড়ে। মুম্বই পুলিশ এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেও তা ধোপে টেকেনি; বরং সুশান্তের পরিবারের একাংশ এবং তার ভক্তগণ কেন্দ্রের ওপর চাপ তৈরি করে সিবিআই তদন্তের আর্জিতে।
সুশান্তের বাবা কে কে সিং কেস ফাইল করেন তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে এমন দাবি তুলে বিহার পুলিশের কাছে। এরপরই সুশান্ত সংক্রান্ত বেশকিছু অজানা তথ্য জনগণের সামনে আসতে শুরু করে। এরইমধ্যে এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম তাদের নিজেদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে সুশান্তের খুনের সম্ভাবনাকে উস্কে দিয়ে আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে এনেছে। যার মাধ্যমে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা করে সিবিআই। সুশান্তের এই ডায়েরি তার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে একথা বলাই বাহুল্য।
যদিও সুশান্তের জীবনে রিয়া চক্রবর্তীর আগমনের পর তাঁর জীবনে নানা রকম অসংলগ্নতা ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রমাণ মেলে ডায়েরির পাতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। বস্তুত সুশান্তের এই আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখে কোন ভাবেই তাকে হতাশাগ্রস্ত বলে মনে হয় না উল্টে এইসব স্বপ্নের ব্লু প্রিন্ট করে রাখা তার আশাবাদী মানসিকতার দিকই তুলে ধরছে। এ নিয়ে মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে যে ডায়েরির এত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তারা বেমালুম চেপে গেল কি করে। যা যথেষ্ট সন্দেহজনক।
উল্লেখ্য, সুশান্তের বোন শ্বেতা সিং কীর্তি এই ডায়রির পাতাকে হাতিয়ার করেই, “জাস্টিস ফর সুশান্ত সিং রাজপুত”, “সিবিআই ফর এসএসআর”, “ওয়ারিয়ার্স ফর এসএসআর” স্লোগান তুলেছেন। আর সেই ক্যাম্পেনে সামিল অঙ্কিতা লোখান্ডে, কৃতী শ্যাননের মত বলি অভিনেত্রীরা।
প্রতিবেদনটি লিখেছেন – অন্তরা ঘোষ