ছিঃ ছিঃ! চিপস কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি, অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

ন্যক্কারজনক এক অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এক মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে চিপস কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বাসন্তী থানা এলাকার জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার সন্ধেয় সদ্য নির্বাচিত ওই প্রতিবেশী পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী এই কুকর্ম ঘটিয়েছেন।
কী ঘটেছিল ঘটনাটি?
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত রবিবার সন্ধেবেলায় পাড়ারই এক ১৪ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে দু’প্যাকেট চিপস কিনে দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জগদীশ মণ্ডল। অভিযোগ, এরপর ওই নাবালিকাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান তিনি। সেখানেই নাবালিকার শরীরের নানান জায়গায় হাত দিয়ে অশালীন আচরণ করে তার সঙ্গে।
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নাবালিকার পরিবার অভিযুক্তের শাস্তির দাবী তুলেছেন। জানা গিয়েছে ওই জগদীশ মণ্ডল জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিতা প্রার্থী শবরী মণ্ডলের স্বামী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।
গতকাল,সোমবার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে বাসন্তী থানার পুলিশও। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করেন। নির্যাতিতা কিশোরীর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। এলাকা থেকে বেপাত্তা তিনি।
এই ঘটনায় কী জানাচ্ছে তৃণমূল?
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বাসন্তী ব্লক তৃণমূল নেতা স্বপন পট্টনায়েক বলেন, “যে ঘটনার কথা এলাকায় চাউর হয়েছে সেটা কতটা বাস্তব, তাতে সন্দেহ রয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তে যদি ওই নেতা দোষী হন তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক”।