রাজ্য

রেহাই পেলেন না বিধবা মহিলাও, আবাস যোজনায় মহিলার প্রাপ্য টাকা থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে

আবাস যোজনায় দুর্নীতি (Awas Yojna Scam) নিয়ে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। কোথাও যোগ্যরা ঘর পান নি তো কোথাও থেকে আবার অভিযোগ এসেছে যে পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাদের নামই উঠেছে আবাস যোজনার তালিকায়। এবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের ওড়গ্রামের এক বিধবা মহিলা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের (TMC leaders) বিরুদ্ধে আবাস যোজনার টাকা থেকে কাটমানি (cut money) নেওয়ার অভিযোগ আনলেন। ওই মহিলার বক্তব্যের একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি খবর ২৪x৭। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

সদ্য ঘোষিত ভাতার ব্লক কমিটিতে সহ সভাপতি হয়েছেন ভাতারের তৃণমূল নেতা মীর নজরুল ইসলাম। তিনি ওড়গ্রামের বাসিন্দা। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই তার প্রতিবেশী অতিরন বিবি নামের এক বিধবা মহিলা আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে বিধবা মহিলাকে বলতে শোনা গিয়েছে যে কীভাবে তাঁর যোজনার টাকা হাতানো হয়েছে।

ওই মহিলা দাবী করেন, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আবাস তালিকায় তাঁর নাম আসে। ঘর তৈরির জন্য ধাপে ধাপে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে এসেছিল। কিন্তু মহিলার অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মীর নজরুল ইসলাম ও ফেসিলেটার শেখ বাপ্পা মিলে খেপে খেপে তাঁর কাছে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। যদিও দীর্ঘ তিন বছর কেটে গেলেও কোনও প্রশাসনিক দফতরে অভিযোগ দায়ের করেননি। যা নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে।

তিনি কেন অভিযোগ দায়ের করেন নি, সেই বিষয়ে ওই মহিলা জানান যে তৃণমূল নেতারাই নাকি এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে বারণ করেছিলেন। এখন সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে বিষয়টি সামনে এনেছেন বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তিনিও এও জানান যে তৃণমূল নেতাদের দেওয়া টাকা তিনি ফেরত চান। মহিলার অভিযোগ, কম টাকা পাওয়ায় তাকে জোড়াতালি দিয়ে বাড়ি বানাতে হয়েছে।

তবে তৃণমূল নেতা মীর নজরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে তোলে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা দাবী করেন যে ভাতার ব্লক কমিটিতে তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে, ফেসিলেটার শেখ বাপ্পাও বলেছেন, “এটা বানানো অভিযোগ। এত দিন পর এই অভজযোগ কেন জানি না। আমি টাকা নিই নি”।

এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের চরিত্র সামনে এনেছি। তৃণমূল কতটা নির্দয় তা এই সব ঘটনা দেখিয়ে দেয়। আমরা চাইব প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক। যাতে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পুরো টাকা জনগণ পায়। তৃণমূলের নেতারা ভাগ বসাতে না পারে”।

Back to top button
%d