রাজ্য

‘আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন’, ‘দিদির দূত’ হয়ে এলাকায় যেতেই শতাব্দীকে করুণ আর্জি মহিলার, কাঁদতে কাঁদতে করলেন অনুরোধ

‘দিদির দূত’ হয়ে গিয়েছিলেন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে গিয়েছিলেন। এলাকায় জল বা রাস্তাঘাটের সমস্যা রয়েছে কী না, কারোর আবাস যোজনায় (Awas Yojna) ঘর পাওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ রয়েছে কী না, এসবই জানতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Shatabdi Roy) সামনে পেয়েই কেঁদে ফেললেন এক মহিলা। ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন তিনি।

আজ, বৃহস্পতিবার নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি পালনে গিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এমন সময় এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে আসেন তাঁর কাছে। জানান যে গত দু’বছর ধরে তাঁর স্বামী নিখোঁজ। মাঝেমধ্যে ফোন করলেও বাড়ি ফেরেন না তিনি। কোনও প্রকারে স্বামীকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান তিনি শতাব্দীর কাছে।

শতাব্দীর প্রশ্নের জবাবে মহিলা জানান যে তাঁর নাম দীপ্তি মণ্ডল। তিনি পাইকপাড়া-কামারপাড়ার বাসিন্দা। দীপ্তি বলেন, “আমার স্বামীর নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল। দু’বছর ধরে আমার স্বামী বাড়ি ফেরেননি। আমি শ্বশুরবাড়িতেই থাকি। আমাদের এক ছেলেও রয়েছে”।

সাংসদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন ওই মহিলা। বলেন, “স্বামী ছাড়া এ ভাবে বাঁচা যাচ্ছে না! আগেও বেশ কয়েক বার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু ফিরে এসেছেন কিছু দিনের মধ্যেই। এ বার আর ফেরেননি”।

দীপ্তি জানান যে তাঁর স্বামীর চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে। স্বামীর খোঁজ করতে পুলিশের কাছেও দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান ওই মহিলা। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। এরপরই এক দলীয় নেতাকে দীপ্তির এই বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন শতাব্দী রায়। দীপ্তিকে সান্ত্বনা দিয়ে সাংসদ বলেন, “ফোনটোন যখন করে, তা হলে নিশ্চয়ই খুঁজে পাওয়া যাবে। পুলিশ দেখবে বিষয়টা”।

এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পরে শতাব্দী বলেন, “আমি কথা বলেছি ওই মহিলার সঙ্গে। খুবই কাঁদছিলেন উনি। কিন্তু স্বামী যদি ওই রকম হয়, তা হলে কী করে হবে! তা-ও আমার যা যা করণীয়, আমি করছি”।

Back to top button
%d bloggers like this: