রাজ্য

বামেদের ব্রিগেডে যেতে বাধা প্রশাসনের, বাম কর্মীদের উপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ করে গর্জে উঠলেন আব্বাস সিদ্দিকি

ব্রিগেড সমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। ব্রিগেডে রাজ্য সরকারের উপর গর্জে উঠলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি বা ভাইজান।

এদিন ব্রিগেড সমাবেশে আব্বাস সিদ্দিকির নিজের কথায় ভালোমতোই বুঝিয়ে দেন যে মানুষের উপর অত্যাচারের রাজনীতি একেবারেই সহ্য ক্তা হবে। এও বলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের জবাব মানুষ গণতান্ত্রিকভাবেই দেবেন। তাঁর কথায় মানুষের সমস্যা সমাধান কোর্টে ও বাংলাকে রক্ষা করতে বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধেছে।

আরও পড়ুন- একেই বলে বামপন্থা! মধ্যমা দেখিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত, ব্রিগেডের পথে শ্রীলেখা!!!

এদিন আব্বাস সিদ্দিকি হুংকার দিয়ে বলেন, “২৮শে ফেব্রুয়ারির এই ব্রিগেড সমাবেশ কোনও দলের, বাংলা বাঁচানোর সমাবেশ”। তাঁর অভিযোগ, ডানকুনিতে তাদের মিছিলে আসা গাড়ি আটকে দিয়েছে পুলিশ। গাড়ির লম্বা লাইন পড়েছে সেখানে। সিদ্দিকি বলেন, এদিন মানুষ বাংলার গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য ব্রিগেডে আসছেন, যুবক-যুবতীরা চাকরির জন্য ছুটে আসছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন যে এই মিছিলকে যাতে সুষ্ঠুভাবে ব্রিগেড সমাবেশে আসতে দেওয়া হয়।

আব্বাস সিদ্দিকি এও অভিযোগ করেন, “দুর্গাপুরে তৃণমূল কর্মীরা আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করেছে। তৃণমূল পার্টি মানুষের সঙ্গে এখনও দুর্ব্যবহার করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আমরা তৃণমূলের এই আক্রমণের জবাব গণতান্ত্রিকভাবেই মানুষের মাধ্যমে দেব”।

আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পরই টনক নড়ল পুলিশের, কাদাপাড়ায় বিজেপি রথ ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

এদিন ব্রিগেডের এই সমাবেশে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টেরও অনেক মানুষ আসেন। এই প্রসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, “আমি রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে ডাক দিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমাদের ব্রিগেডে আসতে বাধা দেওয়া হবে। কিন্তু তোমাদের আসতে হবে। সবাই আমার কথা শুনেছেন। তারা এসেছেন। এই মানুষই মমতার অত্যাচারের জবাব দেবেন”। এবার এই বাম-কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের জোট ভোটার বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার। তবে এই লড়াইয়ে এই জোটের আসল লক্ষ্য যে জেতা, তা আব্বাস সিদ্দিকির বক্তব্য থেকে বেশ পরিষ্কার।

Back to top button
%d bloggers like this: