‘কেন্দ্র ব্যর্থ গরুপাচার আটকাতে, এটা কোনও পাচার নয়, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেলেঙ্কারি’, নাম না করেই অনুব্রতকে সমর্থন অভিষেকের

গরুপাচার কাণ্ডে (cattle smuggling case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আপাতত তিনি রয়েছেন জেলে। এই নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্ক কম হয়নি। বিরোধীদের তরফে কটাক্ষ শানানো হয়েছে শাসক দলকে। চাপের মুখে তৃণমূল এখন কোণঠাসা বলা যেতে পারে। এই আবহে এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “এটা কোনও পাচার নয়, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেলেঙ্কারি”। তিনি এও বলেন যে কেন্দ্র সরকার সীমান্তে গরু পাচার আটকাতে ব্যর্থ। এমন মন্তব্য করে কী তবে তিনি একপ্রকার অনুব্রত মণ্ডলকেই সমর্থন করলেন, এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আজ, সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “বিএসএফের নাকের ডগায় কয়লা, গরু চুরি হয়েছে। পাচারের টাকা দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছে। গরুপাচার আটকাতে ব্যর্থ কেন্দ্র। আর দোষ তৃণমূলের ঘাড়ে। এটা কোনও পাচার কেলেঙ্কারি নয়। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেলেঙ্কারি”।
পার্থ ও অনুব্রতর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধী বিজেপির উদ্দেশে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, “কী ভাবছ ২জনকে গ্রেপ্তার করলেই তৃণমূল শেষ? তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা। তাঁকে ধমকে চমকে আটকে রাখা যাবে না”।
প্রসঙ্গত, গত মাসে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আবার গত ১১ই আগস্ট গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবী, সীমান্তে গরু পাচারের ঘটনা অনুব্রত সরাসরি যুক্ত। তাঁর নির্দেশেই তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও এনামুল হক এই কাজ করত বলে দাবী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে এদিন সেই অভিযোগকে নাকোচ করে গরু পাচার আটকাতে কেন্দ্রই ব্যর্থ বলে দাবী করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।