রাজ্য

‘ইডি-সিবিআইকে পকেটে পুরে বাংলাকে আটকানো যাবে না, উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড এনে কথা বলুন’, তৃণমূলের সমালোচনা করায় নাড্ডাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। এর আগে নানান রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বাংলায় এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। গতকাল, রবিবার জোড়া সভা করে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন তিনি। এর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

এদিন অভিষেক নাড্ডাকে পাল্টা শানিয়ে বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের রিপোর্টের সঙ্গে যাতে রাজ্যের কাজের রিপোর্ট তুলনা করে দেখা হয়। তা থেকেই বোঝা যাবে যে কে কতটা কাজ করেছে। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রতিটি আসনে আদৌ প্রার্থী দিতে পারবে কী না, তা নিয়েও খোঁচা দেন অভিষেক।

গতকাল, রবিবার সন্ধেবেলা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়েছেন। সেখান থেকে সোমবার যাবেন ত্রিপুরা। এর মাঝেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এদিন দুপুরেই পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের জোড়া সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে ‘তোলাবাজ’, ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শুধু তাই-ই নয়, বাংলা ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন নাড্ডা।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এহেন সমালোচনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর দিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাড্ডাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, “লড়াই করুন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এক লক্ষ প্রার্থী আগে দিন। তারপর অভিযোগ করবেন যে তৃণমূল প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে। আপনাদের প্রার্থীদের কোথাও মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়া হলে, আমি আছি। আমি নিজে গিয়ে মনোনয়ন করিয়ে দেব। তৃণমূলের প্রার্থীরা তো আর পদ্ম, হাতে গিয়ে ভোট দিয়ে আসবে না। প্রার্থী আপনাদেরই দিতে হবে”।

গতকালের সভায় নাড্ডা দাবী করেন যে বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা নেই। অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে এনসিআরবি-র রিপোর্ট তুলে ধরেন। আক্রমণের সুরে বলেন, “ইডি, সিবিআই সবাইকে পকেটে পুরেও বাংলা দখল করতে পারেননি। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০২১-এও আপনারা কিছু করতে পারেননি, এবারও কিছু করতে পারবেন না”।

Back to top button
%d bloggers like this: