‘করমণ্ডল নয়, মৃত্যুমণ্ডল’, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মোদী সরকারকে তুলোধোনা করে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবী অভিষেকের

ওড়িশার বালেশ্বর যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কার্যত অবর্ণনীয়। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭০। আহত ৭০০-এরও বেশি। আজ, শনিবারই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকলেই গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। এবার এই দুর্ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, শনিবার হাওড়া থেকে অভিষেক বলেন, “এত বড় একটা দুর্ঘটনা! করমণ্ডল এক্সপ্রেস এখন মৃত্যুমণ্ডল। রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাই মিলে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। কিন্তু এই যে এত নিরীহ মানুষেক নির্মমভাবে মৃত্যু হল, তার দায় তো কাউকে নিতে হবে”!
রেলের ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “রেলের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্নই ওঠে। দুর্ঘটনার পরও রেলের তরফে কোনও গাইডেন্স, নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। উদ্ধারকাজেও রেলের আধিকারিকরা সাহায্য় করেননি বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। এই মুহূর্তে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনগুলিতে কেন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফের একবার সেই প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, “অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বা কবচ থাকলে কি আর এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বারবার এর কথা বলেছেন। এখনও কেন ট্রেনগুলিতে নেই? আমার মনে হয়, রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”।
মোদী সরকারের জমানায় ভারতীয় রেল সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করছেন, আগে আগে গিয়ে সবুজ পতাকা দেখাচ্ছেন, কিন্তু যখন ট্রেন দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, তখন কেন তার দায় তিনি নেবেন না? আসলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নিজেরা তো কখনও রেলে চড়েন না। এই যে বাংলায় আসেন মোদি, অমিত শাহ, তাঁরা কখনও ট্রেনে আসেন? আসেন তো বিশেষ বিমানে। তাঁরা আর কী বুঝবেন? আমি আবার অনুরোধ করছি, রাজনীতির স্বার্থে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলবেন না”।