‘প্রকৃত দোষীকে আড়াল করতেই আমার ছেলেকে গ্রেফতার, স্বপ্নদীপকে মনের জোর জোগাত ও’, দাবী, যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুতে ধৃত দীপশেখরের বাবার

স্বভাবে শান্তশিষ্ট। বই-ই ছিল তাত একমাত্র সঙ্গী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সেই দীপশেখর দত্ত। কিন্তু ছেলের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না তার মা-বাবা। তাদের দাবী, আসল দোষীকে আড়াল করতেই তাদের ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কে এই দীপশেখর দত্ত?
বাবা মধুসূদন এবং মা সংগীতা দত্তের একমাত্র ছেলে দীপশেখর দত্ত। বাঁকুড়ার মাচানতলার বাসিন্দা সে। ছোটো থেকেই খুব শান্ত স্বভাবের। ডিএভি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করত। প্রথম থেকে অত্যন্ত মেধাবী। অর্থনীতি নিয়ে উচ্চশিক্ষার আশায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। তার গ্রেফতারিতে তার বাবা-মা খুবই তাজ্জব হয়েছেন।
দীপশেখরের বাবা মধুসূদন দত্ত জানান, গতকাল, শনিবারেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। পুলিশ তাকে জেরা করেছে সে কথা বাড়িতে জানায়। তবে কখন যে তাকে গ্রেফতার করা হল তা জানা ছিল না। তাঁর দাবী, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতেই সৌরভ, দীপশেখর, মনোতোষদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তিনি এও জানান যে ছেলে যদি সত্যিই কোনও অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি পাওয়া উচিত।
কী জানালেন দীপশেখরের মা?
দীপশেখরের মায়ের দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর ছেলে কোনও অপরাধ করতে পারে না। তিনি জানিয়েছেন, হোস্টেলের সকলে তাঁর ছেলেকে খুবই ভালোবাসে। তাঁর কথায়, স্বপ্নদীপ যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল, তা আগেই টের পেয়েছিল দীপশেখর।
তাঁর মায়ের কথায়, স্বপ্নদীপকে তাঁর ছেলে প্রতি মুহূর্তে মনের জোর জোগাত। এমন ভালো কাজ করার পরও কেন তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হল, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দীপশেখরের মা। তার এক প্রতিবেশীও জানান যে দীপশেখর দিনরাত পড়াশোনা নিয়েই থাকত। সেই ছেলে যে কারোর প্রাণহানির কারণ হতে পারে, তা বিশ্বাস করতেই পারছেন না তিনি।