রাজ্য

দলীয় কর্মীর খু’ন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি অধীরের, ‘পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ’, তোপ শুভেন্দুরও

পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি হতে পারে, এমন আশঙ্কা আগেই করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই কারণেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবী তুলেছিলেন তিনি। এরপর গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যাতেই খড়গ্রামে খু’ন হয় কংগ্রেস কর্মী। দলীয় কর্মীর এভাবে খু’ন হওয়ার কথা উল্লেখ করে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন অধীর চৌধুরী।

এই চিঠিতে দলীয় কর্মী ফুলচাঁদ শেখের খু’নের কথা উল্লেখ করেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানান তিনি।

অন্যদিকে, এই খু’নের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি টুইট করে লেখেন, “মনোনয়নের প্রথমদিনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খড়গ্রামে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। তাতেই ফুলচাঁদ শেখের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম ৩। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ রাজ্যে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ”।

প্রসঙ্গত,গতকাল, শুক্রবার রাতেই আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম এলাকা। ফুলচাঁদ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে কু’পিয়ে গুলি করে খু’নের অভিযোগ ওঠে। এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, বিকালে বাকি অনেকের সঙ্গে বসে তাস খেলছিলেন ফুলচাঁদ। আচমকাই তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা বাঁশ লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় তাঁর উপর। এলোপাথাড়ি মারধর শুরু হয়। ফুলচাঁদ পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই গুলি এসে লাগে ফুলচাঁদের শরীরে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় আহত রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

গতকাল, শুক্রবারই ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন। আর প্রথমদিনই ঘটে গেল এমন খু’নের ঘটনা। অধীর চৌধুরী ও শুভেন্দু অধিকারী দাবী জানিয়েছেন যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। শুভেন্দু এমনও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

Back to top button
%d bloggers like this: