রাজ্য

২০ বছর জেল খাটার পর ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন এক ব্যক্তি! ঘোষণা এলাহাবাদ হাইকোর্টের

দীর্ঘ ২০ বছর কেটেছে জেলের অন্ধকার ঘরে। অবশেষে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তিনি নির্দোষ হ‌ওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত গম্ভীর একটি অভিযোগে জীবনে কুড়িটা বছর জেলে কাটিয়েছেন। রাজ্য সরকার এত বছর কারাগারে কাটানোর পরেও তাঁর মুক্তির আইনটিকে সঠিক অর্থে বিবেচনা করেনি।

কারাগারে দায়ের করা আপিলটিও দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ত্রুটিযুক্ত ছিল। বিচারক জে. কে.ঠাকর এবং বিচারক গৌতম চৌধুরীর বেঞ্চ শুনানির সময় জানান ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত না হ‌ওয়ায় ওই ব্যক্তিকে অবিলম্বে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বিচারকদের বেঞ্চ জানায় ললিতপুরের বাসিন্দা বিষ্ণুর আবেদন মেনে আদালত এই আদেশ দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর, বিষ্ণুর বিরুদ্ধে বাড়ি থেকে একটি খামারে যাওয়ার পথে তপশিলী জাতির, একটি মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে।

আদালতের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের পর্যবেক্ষণে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।  মেডিকেল রিপোর্টেও ওই মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে এমন কোন কথাও তিনি জানাননি।

অভিযোগটি ঘটনার ৩ দিন পর মহিলার স্বামী ও শ্বশুর দায়ের করেছিলেন। যার ভিত্তিতে জেলা আদালত এসসি ও এসটি আইনের অপরাধে ধর্ষণ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে কারাদন্ড দিয়েছিল। ২০০০ সাল থেকেই বিষ্ণু ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্ত না হয়েও অভিযুক্ত হিসেবে কারাবন্দি ছিলেন।

Back to top button
%d bloggers like this: