রাজ্য

বর্তমান সময়ের অপ্রত্যাশিত ছবি! বারুইপুরের হোটেলে সান্ধ্য আড্ডায় মগ্ন শুভেন্দু-বাবুল-কুণাল

রোজ‌ই একে অপরকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন যাঁরা তাঁরাই এবার এক টেবিলে সান্ধ্যকালীন আড্ডা দিচ্ছেন! বঙ্গ রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়ানো এমন ছবিই এবার ধরা পড়ল বারুইপুরের একটি হোটেলে।

লেন্স বন্দী হলেন শুভেন্দু অধিকারী, বাবুল সুপ্রিয়, কুনাল ঘোষ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের এমন উত্তপ্ত আবহে এই তিন রাজনৈতিক চরিত্রকে একসঙ্গে দেখে কার্যত হতবাক বঙ্গ জনতা। যদিও এই সাক্ষাৎকে নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল ও বিজেপির পৃথক কর্মসূচি ছিল। ক্যানিংয়ে রোড শো ও জনসভা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুলতলিতে কর্মসূচি ছিল বিজেপি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। জয়নগর থেকে রথে কুলতলিতে যান শুভেন্দু। সেখানে ভাষণ দেন। ফেরার পথে বারুইপুরে একটি হোটেলে খেতে ঢুকেছিলেন তিনি। সঙ্গী হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ঘটনাচক্রে ওই হোটেলেই খেতে যান কুণাল ঘোষ‌ও। মতাদর্শের ফারাক আলাপচারিতায় বাধা হয়নি। সূত্রের খবর, শুভেন্দু-বাবুল ও কুণালের মধ্যে মিনিট দশেক কথা হয়েছে। প্রকাশ্যে এই নিয়ে কোনও তরফেই প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ‘আড্ডা’ দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। জল্পনা অনাবশ্যক।

তবে ত্রয়ীর সাক্ষাতের ‘টাইমিং’ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুভেন্দু সভায় ঢোকার আগেই কুলতলিতে ভাষণ দিয়ে সভামঞ্চ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কয়েক ঘণ্টা পরে সেই বাবুলই আবার শুভেন্দুর সঙ্গে বারুইপুরের হোটেলে! কাকতালীয়ভাবে সেখানে হাজির হলেন কুণাল ঘোষ। বাবুল অনেক আগে বেরিয়েও কীভাবে এলেন সেখানে? এই ত্রয়ীর এমন ‘দুর্দান্ত টাইমিং’ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে।

Back to top button
%d