রাজ্য
প্রশান্ত কিশোরের প্রথম পছন্দ ছিল বিজেপি! ভোটের মুখে সত্যি কথা বলে ফেললেন অমিত শাহ্!

তিনি প্রশান্ত কিশোর। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের ভোট কৌশলী। তাঁকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ কম নেই। এবার সেই পিকে কে নিয়েই ব্যতিক্রমী মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ্।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর তাকে নিয়ে আসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসেই মাস্টার স্ট্রোক ,’দিদিকে বলো’। তারপর একে একে দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প, সব তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
কেনও বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার লোকসভা নির্বাচনে ফল করেছিল, তার কারণ অনুসন্ধানও করতে তাঁর টিম আই প্যাককে নামিয়ে দিয়েছিলেন ময়দানে। তৃণমূলের অন্দরে যে চোরাস্রোত বইছে, তা নিরুপণ করার পাশাপাশি টোটকাও বের করেছিলেন তিনি। এখন দেখার পিকের-টোটকায় তৃণমূল তাদের হারানো জমি ফিরে পায় কি না!
এরপর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে, পিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়েছেন, বিজেপি দুই অঙ্ক পেরোতে পারবে না। এটা তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। বলেছেন, বিজেপি দুই অঙ্ক পেরোলে তিনি ভোট কৌশলীর চাকরিই ছেড়ে দেবেন।
আর এহেন পিকেই নাকি যোগ দিতে চেয়েছিলেন বিজেপিতে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন অমিত শাহ্।
এদিন এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন,পিকে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা চাইনি পিকে-কে দলে নিতে। তবে নীতীশকুমার বলেছিলেন, অমিত শাহ্’র অনুরোধেই প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েছিলেন তিনি। এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অকপট স্বীকারোক্তি, তিনি বলেছিলেন নীতীশ কুমারকে দলে নিতে।
তবে তিনি জানান, কিন্তু প্রশান্ত কিশোর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়য়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাদের দলে ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট বলে কিছু নেই। দলের সবাই রাজনৈতিক কর্মী। রাজনৈতিক কর্মীরাই দলের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করেন। সেই কারণেই তাঁকে দলে না নিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলাম।
এরপর নীতীশ কুমারের দলে ভোট কৌশলী হিসেবেই যোগ দিয়েছিলেন প্রশান্ত। কিন্তু বেশিদিন টিকতে পারেননি। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রশান্ত কিশোর যোগ দিয়েছিলেন জনতা দল ইউনাইটেডে। এই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে পড়েন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর ডাকেই বাংলার সিট বাঁচাতে নামে পিকে।