রাজ্য

অনুব্রতর দুয়ারে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি! চিঠি লিখে দিয়ে গেলেন পাশে থাকার বার্তা, ‘ভালো সময়ে ছিলাম, দুঃসময়ের থাকব না’, বললেন বৃদ্ধ

কিছুদিন আগে পর্যন্তও বোলপুরের নিচুপট্টির এই বাড়ির লোকজনের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর থেকে যেন সব থমথমে। এক নিস্তব্ধতা রয়েছে গোটা বাড়ি বা বলা ভালো গোটা এলাকাতেই। বাড়িটি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গত বৃহস্পতিবার গরু পাচার কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

তবে আজ, শনিবার হঠাৎই বেলার দিকে সেই বাড়িতেই এলেন এক বৃদ্ধ। হাতে একটি চিঠি। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে আবেদন করেন যাতে এই চিঠিটি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের নাম শেখ নওশাদ আলি। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে কাছের লোকজন। দুঃসময়েই তো কাছের মানুষজনকে চেনা যায়। অন্তত ওই বৃদ্ধের তেমনটাই মত। সেই কারণেই অনুব্রতর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতেই শনিবার দুপুরে লাভপুর থেকে ছুটে আসেন তিনি।

তবে বাড়ির মালিক অনুপস্থিতিতে অন্য কারোর সঙ্গে দেখা করারও ইচ্ছা তাঁর নেই। তিনি শুধু নেতার মেয়েকে জানাতে এসেছেন যে এই দুঃসময়ে সুকন্যা একা নন। পাশে আছেন তাঁরা। নওশাদের চিঠিতে লেখা, “ভালোবাসা নেবে। আমরা তোমার বাবার ব্যাপারে কথা বলব এমপি আবু তাহের খানের সঙ্গে। ফোন নম্বর দিলাম। দরকার হলে ফোন কোরো”।

কিন্তু কে এই ব্যক্তি? কী তাঁর পরিচয়?

সাদা পাঞ্জাবি পরা মাথায় ফেজটুপি দেওয়া বৃদ্ধ জানান, “দীর্ঘদিন পার্টি করতাম। আবু খান সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করেছি অনুব্রতবাবুর গ্রেফতারি নিয়ে। তাই এলাম ওর বাড়িতে”। অনুব্রত এবং তিনি একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন বলে দাবী করেন ওই বৃদ্ধ তিনি বলেন, “কংগ্রেস করতাম আমরা। আমি ব্লক সভাপতি ছিলাম। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। তারপর অনুব্রত তৃণমূলে চলে গেলেন”।

শেখ নওশাদ জানান যে এরপর তিনিও তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর কথায়, “ওঁর গ্রেফতারির পর কষ্ট হচ্ছে। সেই জন্য ওঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলাম। নেতার ভাল সময়ে ছিলাম। অসময়ে দূরে যাব না”।

Back to top button
%d bloggers like this: