রাজ্য

‘হাতে-মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, ব্যালেন্স পাচ্ছি না, জামিনটা দিন না স্যার’, বিচারককে কাতর কণ্ঠে আর্জি অনুব্রতর

আজ, বুধবার তিহাড় জেল থেকেই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি ছিল অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনের। এদিন আসানসোলের বিচারকের কাছে কাতর কণ্ঠে জামিনের জন্য আর্জি জানান অনুব্রত। বলেন, “শরীর ভালো নেই। হাতে-পায়ে যন্ত্রণা। মাথায় ব্যাথা। ব্যালেন্স পাচ্ছি না। জামিনটা দিয়ে দিন স্যার”।

গত ১১ই মে শেষবার তিহাড় জেল থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয়েছিল অনুব্রত ও সায়গলের। ওইদিন সায়গল আইনজীবী মারফত বাজেয়াপ্ত হওয়া গয়না ফেরতের দাবী করেছিলেন। অনুব্রত ওইদিন বিচারককে জানিয়েছিলেন, তাঁর চালমিলে চুরি হচ্ছে। শ্রমিকদের টাকা দিতে পারছেন না। সিবিআই আদালতে ভোলে ব্যোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডি’ফ্রিজের আবেদন করেছিলেন কেষ্ট।

এরপর পরবর্তী শুনানির দিন ছিল আজ অর্থাৎ ৭ জুন। এর মাঝে গরমের ছুটি ছিল আদালতে। আদালত খোলার পর আজ, বুধবার ফের আসানসোল সিবিআই আদালতে তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত ও সায়গলের ভার্চুয়াল শুনানি হয়। এদিন যদিও অনুব্রত ও সায়গলের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন নি।

এদিন অনুব্রত ও বিচারকের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। বিচারক কেষ্টকে প্রশ্ন করেন, “শরীর কেমন আছে অনুব্রতবাবু? শরীর খারাপ হলে আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে তো”? অনুব্রত উত্তরে বলেন, “হ্যাঁ, নিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালে। চিকিৎসা ভাল হচ্ছে। এবার জামিন দিয়ে দিন স্যার। ৯ মাস হয়ে গেল”।

এরপর বিচারক বলেন, “আপনার তো হাইকোর্ট থেকে জামিন খারিজ হয়েছে। অন্য মামলায় আপনি তিহাড় জেলে আছেন। আমি চাইলেই তো জামিন দিতে পারি না। আপনার আইনজীবীকে পিটিশন জমা করতে বলুন। দু’পক্ষের কথা শুনে কিছু বলতে পারব”।

এরপরই শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরে কাতর আর্জি জানান অনুব্রত। বলেন, “স্যার, শরীর ভাল নেই। হাতে-পায়ে যন্ত্রণা। মাথায় ব্যথা। ব্যালেন্স পাচ্ছি না। সুগার ২৫০”। তাঁর অসুস্থতার কথা শুনে বিচারক বলেন, “আমরা আগেও ভাল চিকিৎসার জন্য তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছি। আবারও ভাল চিকিৎসার জন্য অর্ডার কপিতে লিখে দিচ্ছি”। অন্যদিকে, আজ আসানসোল আদালতের বিচারক সায়গল হোসেনের সঙ্গেও কথা বলেন। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী গরু পাচার মামলায় বর্তমানে তিহাড় জেলেই রয়েছেন।

Back to top button
%d bloggers like this: