অবশেষে তিহাড়ে দেখা হল বাবা-মেয়ের! ‘তুই কেন এলি এখানে, তোকে তো বারণ করেছিলেন’, সুকন্যাকে দেখেই কেঁদে ফেললেন অনুব্রত

নির্দিষ্ট সূচি মেনেই অবশেষে তিহাড় জেলে দেখা হল বাবা-মেয়ের। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে দেখে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন দু’জনেই। তবে তাদের দু’জনকে আলাদাভাবে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কারারক্ষীদের সামনেই একটা ঘরে মিনিট দশেক কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডল। মেয়েকে দেখেই কেষ্টর প্রশ্ন, “তুই এখানে কেন এলি”?
বীরভূমে এক সময় যার প্রভাব ছাড়া গাছের পাতাও নড়ত না, সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডল এখন গরু পাচার কাণ্ডের জেরে জেলবন্দি। গত বছর আগস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। প্রথমে আসানসোল জেলে থাকলেও, গত একমাস ধরে তাঁর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল।
কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও এই একই কাণ্ডে বারবার দিল্লিতে তলব করে ইডি। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোনও না কোনও অজুহাত দিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি। গতমাসের শেষের দিকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতেই জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয় কেষ্ট কন্যাকে। তাঁরও ঠাঁই হয় সেই তিহাড় জেলেই।
বাবা-মেয়ে দু’জনে একই জেলে রয়েছেন, অনেকেই হয়ত ভেবেছিলেন যে এবার দু’জনের দেখা হবে। কিন্তু জেল এক হলেও দু’জনের সেলের দূরত্ব অনেক বেশি। সুকন্যা গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ খুলে অনুব্রত বলেছিলেন যে মেয়েকে গ্রেফতার করা খুব অন্যায় হয়েছে। এমনকি, এক ইডি অফিসারকে তোপ দেগে কেষ্ট তাদের বিবেকহীন বলেছিলেন।
গত ৫ই মে অর্থাৎ শুক্রবার অনুব্রত সাংবাদিকদের সামনে জানান যে শনিবার মেয়ের সঙ্গে দেখা হবে। প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছে তবে সময় সীমিত। সেই অনুযায়ীই, শনিবার ঘড়ি ধরে পাক্কা ১০ মিনিট জেলের একটি ঘরে কথাবার্তা বলেন বাবা ও মেয়ে। মেয়েকে দেখেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অনুব্রত। তাঁকে বলেন, “তোকে তো দিল্লি আসতে বারণ করেছিলাম। তুই কেন এলি? কার কথা শুনে এখানে এলি”? দু’জনেই দু’জনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। আইনি লড়াইয়ের বিষয়েও কিছু কথাবার্তা হয় বাবা-মেয়ের মধ্যে।