রাজ্য

উঁচুতলায় বিজেপি-তৃণমূল আঁতাত, কুণাল-সজলের ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে মিলল প্রমাণ, নিচুতলায় পিষছেন কর্মীরা! কর্মীদের জন্য সহানুভূতিশীল নন কেন নেতারা?

একসময় বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের দু’জনের মধ্যে। উত্তর কলকাতায় (Kolkata) দাদা-ভাই বলে পরিচিত ছিলেন তারা। কিন্তু ‘ভাই’ বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দূরত্ব বাড়ে। কিন্তু বড়দিনের উৎসবে এবার কী সব রাগ-অভিমান গলে জল হয়েছিল? বড়দিনে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও বিজেপির সজল ঘোষকে (Sajal Ghosh) একসঙ্গে দেখে একথাই মনে জেগেছিল সকলের। এরই মধ্যে সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ (viral audio clip)।

আসলে বড়দিনে বিজেপি নেতা শিবাজি সিংহ রায়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল কুণাল ঘোষ ও সজল ঘোষকে। তা নিয়ে চর্চা হলেও কুণাল জানিয়েছিলেন যে সেখানে রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে কুণালকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সজল বলেছিলেন যে কুণাল নাকি তৃণমূলের হতাশা নিয়ে কথা বলেছেন। এরপরই সামনে আসে কুণাল ও সজলের ফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ।

এই অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে যে অন্য কোনও ব্যক্তির ফোনে কথা বলছেন কুণাল ও সজল। সেখানে কুণালকে বলতে শোনা যায়, “আমি আমন্ত্রন না পেয়েই চলে যায় তুমি এটা কী বললে। এটা কতটা অসম্মানজনক ভাবতে পারছ”। এর উত্তরে সজল ঘোষ বলেন, “ওটা মজা করে বলেছি। আমাকে কে কী কী বলেছে আমি বলব না। তবে আমাকে তো খেলতে হবে, আমায় তো বাঁচতে হবে। আমার তো গুষ্টির ষষ্ঠী পুজো হয়ে গিয়েছে”।

এরপরই বেশ আকুতি কণ্ঠেই সজল কুণালকে বলেন, “দাদা, আমি বাঁচব কী করে, আমায় আপনি বলুন। আমি যে দলটায় আছি”। এরপরই তিনি বলেন যে তিনি কিছুক্ষণ পর কুণালের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন করছেন। তবে এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে নি খবর ২৪x৭।

শুনে নিন ভাইরাল হওয়া সেই অডিও ক্লিপ-

এই অডিও সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই আরও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একদিকে সজলের দাবী, এটা একটা চক্রান্ত। পরিচিত কোনও সাংবাদিককে দিয়ে ফোন করিয়ে এই অডিও সামনে আনা হয়েছে। তাঁর দাবী, এই অডিওতে এডিট করা হয়েছে। কিছু কথা জোড়া হয়েছে আর কিছু কথা কাটা হয়েছে।

অন্যদিকে আবার কুণালের দাবী, “অডিওটি কোনওভাবেই এডিট করা হয়নি। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজন হলে পুলিশের কাছে যাক। কেন্দ্রীয় ল্যাবটারিতেও পরীক্ষা করতে পারে”।

কিন্তু এসবের মধ্যে প্রশ্ন একটাই, রাজনৈতিক দলের উঁচুতলার নেতাদের একে অপরের মধ্যে আঁতাত বেশ ভালোই রয়েছে। বাইরে একে অপরকে আক্রমণ করলেও ভিতরে ভিতরে তাদের সম্পর্ক আলাদা। কিন্তু নিচুতলার কর্মীরা? তারা তো নিজের সর্বস্ব দিয়ে নিজেদের দলের পাশে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে কত কর্মী বলিও হন। তাহলে তাদের আবেগ, তাদের আত্মত্যাগের কোনও দামই কী নেই শীর্ষনেতাদের কাছে? এতটাই অসহানুভূতিশীল তারা?

Back to top button
%d bloggers like this: