মুখ্যমন্ত্রীর বিপক্ষে কথা! রাজ্যের নানান পর্যটনকেন্দ্রে আগামী দু’দিনের মধ্যেই করোনা বিধিনিষেধ জারি হবে, ঘোষণা বাবুলের

বিগত বেশ কয়েকমাস ধরে ভালোই চলছিল পরিস্থিতি। ছিল না কোনও করোনা বিধিনিষেধ। সংক্রমণও অনেক কমে এসেছিল। মৃত্যুর হারও একেবারেই কম ছিল। কিন্তু ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা আতঙ্ক। প্রতিবেশী দেশ চীনে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর বাড়বাড়ন্তের কারণে ভারতেও বেড়েছে উদ্বেগ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নতুন করে করোনা বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক পরা, দূরত্ব বিধি মেনে চলা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন যে এখনই বাংলায় কড়াকড়ি বিধিনিষেধ চালু হচ্ছে না। কিন্তু এর ঠিক পরদিনই অন্য কথাই শোনা গেল মমতার মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র গলায়।
শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির গজলডোবা পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে যান রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেই তিনি জানান যে আগামী দু’দিনের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র ও পর্যটকদের থাকার জায়গাগুলোর জন্য বিশেষ করোনা গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে রাজ্য পর্যটন মন্ত্রকের তরফে। করোনার চতুর্থ ঢেউ থেকে পর্যটন শিল্পকে যতটা সম্ভব বাঁচানোর চেষ্টা করা দরকার বলেও জানান মন্ত্রী।
আসলে, করোনা পরিস্থিতির সময় সবথেকে বেশি যে শিল্প ধাক্কা খেয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল পর্যটন শিল্প। বিশ্বজুড়েই এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। করোনা পরিস্থিতি সামলে একটু একটু করে যখন পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই এল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্ক।
তবে গতকাল, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হওয়া বৈঠকে বলেন যে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এমনকি, উৎসবের মরশুমেও কোনও কড়াকড়ি রাখেন নি তিনি। কিন্তু তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রী হয়েই বাবুলের গলায় বিধিনিষেধের সুরের জেরে বিতর্ক তো একটু তৈরি হয়েছে বটেই।